সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) শিশুদের মানসিক বিকাশ গঠনে অন্যান্য প্রতিষ্টানের ন্যায় খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে সরকারি শিশু নিবাসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী উপলক্ষে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়।
একশত সদস্যদের শিশুদের নিবাসে এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেধাসহ বাৎসরিক মূল্যায়ন করা হয় ১১ জনকে। তাদের হাতে ক্রীড়ানুষ্টানের উদ্বোধক এডিসি (সার্বিক) মো. রাফিকুজ্জামান, সমাজসেবা উপ পরিচালক শাহ আলম ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাতেনসহ অন্যরা সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এই শিশুদের মানসিক গঠনে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও নানা কারিকুলাম এক্টিভিটিতে সম্পৃক্ত করার উদ্দ্যেশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও এই আয়োজন করা হয় বলে জানান নিবাসের তত্বাবধায়ক মো. তারেক হোসেন। জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন এবং মশাল দৌড়ের মাধ্যমে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
দৌড় এবং গ্রামীণ খেলা মোরগের লড়াইসহ ১০ টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শত শিশুর মাঝে বয়স ভিত্তিক ভাবে খেলার পরিচালনা করেছেন শিশু পরিবারের (এতিমখানা) তত্বাবধায়ক মো. তারেক হোসেন। আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন এডিসি সার্বিক মো. রাফিকুজ্জামান।
পুরস্কার বিতরনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পূর্বে সমাজসেবার উপ পরিচালক শাহ আলমের সভাপতিত্বে সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের পরিচালনায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনালে তত্বাবধায়ক তারেক হোসেনের পরিচালনায় খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। এতে করে শিশুরাও আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে।
এরপর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় শিশুরা পল্লীগীতি পরিবেশনে অংশ নেয়।