নেত্রকোনার মদনে প্রবাস ফেরত যুবক এখলাছ উদ্দিন (৩৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকায় মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী শ্বাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহের র্যাব ১৪।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বারড়ি সুতিয়ারপাড়া গ্রামের মো.খাইরুল ইসলামের স্ত্রী এবং নিহতের শ্বাশুড়ি মোছা:লুৎফুন্নেছা (৫০) ও কন্যা মুক্তা আক্তার (২৮)। র্যাব ১৪ উপ-পরিচালক অপারেশন অফিসার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতেৃত্ব একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মহানগরীর সানকিপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতাকৃতদের মদন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে বিকালে র্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অপারেশন অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখলাছ উদ্দিন গত প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী উপজেলা মদনের কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা আক্তারের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিলো বিয়ের পর থেকে। এর মাঝে স্ত্রী মুক্তা চট্ট্রগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের পারিবারিক কলহ নিয়ে এলাকায় দেন দরবারের মতো ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৪ নভেম্বর বিকালে একটি দরবার হওযার কথাও ছিলো। কিন্তু ১৩ নভেম্বর সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ি সুতিয়ারপাড়া গ্রামে গিয়ে তিনি অগ্নিদদ্ধ হন। এরপর ছয়দিন ঢাকার বার্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গত শনিবার রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে এখলাছের চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিন মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সেই মামলাটি পরবর্তীতে হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। পরিবারের দাবী স্ত্রীর কাছে দেয়া টাকা ফেরত চাইলে তাকে ডেকে এনে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব মামলার প্রধান আসামী নিহত এখলাছের স্ত্রী মুক্তা আক্তার ও তার মা লুৎফুন্নেছাকে গ্রেফতার করে মদন থানায় হস্তান্তর করে।