নেত্রকোনা চল্লিশার বামনমোহা গ্রামে শ্বশুর বাড়ির আমগাছে মিলল গণপূর্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের (৪০) ঝুলন্ত লাশ। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে নেত্রকোনার মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দেলোয়ার নেত্রকোনা জেলা গণপূর্ত কার্যালয়ে (সাঁটলিপি) মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত ছিলেন। পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় বদলি হন।
স্থানীয় চল্লিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার ইউনিয়নের বামনমোহা গ্রামে মৃত সারজ আলীর মেয়ের জামাই। সকালে আমগাছে ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখে খবর দেয়। আমি পুলিশ নিয়ে গিয়ে লাশ নামাই। তাদের কোন পারিবারিক বিরোধ বা কোন কিছু ছিলোনা বলেও তিনি জানান।
এদিকে দেলোয়ার হোসেন পাশের কাইলাটি ইউনিয়নের কাওয়ালীকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। কিন্তু এ ব্যাপারে কাইলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুন হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মাত্র তিনিও শুনেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্তের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে দেলোয়ার হোসেন বদলির পর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঢাকা গেলেও পরবর্তীতে আবার স্ত্রী সন্তানকে বামনমোহা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে রেখে গেছেন।
স্থানীয়দের ধারণা তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্ব›দ্ব ছিলো হয়তো যেকারনে এতোদিন দেলোয়ার ঢাকাতে একাই ছিলেন। (শুক্রবার) সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেশীরা আম গাছে দেলোয়ারকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। কাউকে না জানিয়ে তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন বলেও সকলে জানায়। পরে তাদের ডাক–চিৎকারে স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম জানান, আমরা খবর পেয়ে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে। গাছে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিলো।
তিনি আরও জানান এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ দেয়নি তার পরিবরের লোকজন তবে অপমৃত্যু একটি মামলা হয়েছে। তিনি জানান, আমরা তার শ^শুর বাড়ির লোকজনদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে এখানে স্ত্রী সন্তানকে রেখে গেছে। তারা জানেনা যে দেলোয়ার এসেছে। সকালে উঠে দেখে আম গাছে লাশ ঝুলছে। তিনি আরও বলেন পারিবারিক কলহ আছে কিনা বুঝা যাচ্ছে না। থাকলে থাকতেও পারে। তবে তদন্ত করে দেখা হবে।