নেত্রকোনা জেলা শহরের মেছুয়া বাজার এলাকায় জুয়ার আসর থেকে জুয়া বোর্ডের পরিচালকসহ সাবেক সেনা সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
আটকরা হলেন বোর্ড পরিচালক সদর উপজেলার খতিবনগুয়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মোঃ আলামিন (৪৫) ও তার সহযোগী সাতপাই এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য মোসেফ কাক্কা বুলবুল।
আজ রবিবার রাতে মেছুয়া বাজারের কাঁচা সবজির আড়তের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদেরকে জুয়ার সরঞ্জামসহ আটক করে।
রাতে এক বার্তায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পের উপ অধিনায়ক জিসানুল হায়দার।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গত ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা সেনা ক্যাম্পের সার্জেন্ট মোত্তাহিরুলের নেতৃত্বে টহল দল নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিদেরকে জুয়া আসর পরিচালনার অপরাধে মেছুয়া বাজার কাঁচামালের আড়তের দ্বিতীয় তলা থেকে আটক করে।
পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন যাবত জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছিল।
পরবর্তীতে তাদেরকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রমাণসহ আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার চারশ নগদ টাকা, তাস ৮সেট ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামাল এবং অপরাধীদেরকে সদর থানায় সোপর্দ করার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মেছুয়া বাজার বোর্ডে জেলা শহরের সকল প্রভাবশালী জুয়ারিরা বিভিন্ন সেক্টরে টাকা দিয়ে এই জুয়া চালিয়ে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে।
সাবেক সেনা সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর সোর্স পরিচয়ে এই জুয়া চালাতো।
গত ২০০৭ সনে ওয়ান ইলেভেনের সময়েও সাবেক সেনা সদস্য হওয়ায় দাপট দেখিয়ে প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন জনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ রাখে।
এদিকে মোসেফ কাক্কা বুলবুলের মতো আরও অনেক সাবেক সেনাসদস্য চাকুরীচ্যুত সদস্যরা সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে জেলা দাপিয়ে বেড়ায়। সেইসাথে চোরাচালানসহ মানুষকে চাকুরি দেয়া ও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। তাদের নামের সাথে সাবেক সেনা সদস্য থাকায় তারা বারবার পার পাচ্ছে। কেউ কেউ থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মানুষকে সেনাবাহিনীর ভয়ভীতি দেখিয়ে অপরাধের প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে দেয় না।