নেত্রকোনা দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৪ জন শ্রমিককে আটক করেছে যৌথবাহিনী। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের সবাইকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। এর আগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী পৌর শহরের তিনটি স্পট থেকে ১৪ জন শমিককে আটক করা হয়।
এ সময় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর ও সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মোতালেব হোসেন ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আলামিন (৩৩), মো. হাতেম আলী (২৩), রবি দাস (৪৯), মো. মোস্তফা (৫৩), মো. আবুল কালাম আজাদ(২৪), মো. ওয়াসিম(৩০), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৪), মো. মোফাজ্জল হোসেন (২৪), মো. মামুন হোসেন, মো. জুয়েল মিয়া (২৬), প্রাণতোষ(২০), মো. আনাস (২০), মো. হৃদয় হাসান (১৯) ও মো. হাফিজুর রহমান (২৫)। তারা সকলেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ১৪ জন শ্রমিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে প্রত্যেকেই সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে এরকম তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সোমেশ্বরী নদীর তিনটি স্পটে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় শ্রমিকরা নদী থেকে অবৈধপন্থায় উত্তোলন করে বস্তায় বালু ভর্তি করার সময় হাতে না হাতে ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে প্রত্যেককে সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৪ বছর ধরে সোমেশ্বরী নদীতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে নদীর ভূগর্ভস্থ ও আশপাশের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছে। নদী রক্ষা এবং নদীর তীর রক্ষায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার রিট পিটিশন মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে সোমেশ্বরী নদীর পাঁচটি বালু মহল থেকে বালু উত্তোলন ও সরকারি ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ রযেছে।