জেলার হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষয় ডুবন্ত বাঁধের নির্মাণ এবং মেরামতের লক্ষ্যে এবছর ৭ টি উপজেলায় ২০২ টি পিআইসি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪৬ টি পিআইসি কাজ শুরু করে দিয়েছে।
জানা গেছে, নেত্রকোনার হাওরে ডুবন্ত বাঁধ রয়েছে ৩৬৫ কিলোমিটার। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে এবছর ২৭৫ কিলোমিটার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার জন্য প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ এসেছে ২০ কোটি টাকা। সর্বমোট ২০২ টি পিআসি করবে এসকল কাজ। এরমধ্যে জেলার খালিয়াজুরীতে পিআইসি ১১১ টির মধ্যেই কাজ চলমান ৭৬ টিতে। মদনে ২৪টি মধ্যে কাজ চলমান ১৬ টিতে, মোহনগঞ্জে ২৫ টির মধ্যে কাজ চলমান ২৪ টিতে, কলমাকান্দায় ২৬টির মধ্যে কাজ চলমান ১৫ টিতে, বারহাট্টায় ১০ টির মধ্যে কাজ চলমান সবকটিতে, পূর্বধলায় ৪ টির মধ্যে সবকটিতে কাজ চলমান এবং আটপাড়া ২টির মধ্যে কাজ চলমান ১ টিতে।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে হাওরের ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন বন্ধকরণ ও মেরামত করণ বিষয়ে কাবিটা স্কীম বাস্তবায়নের মনিটিং কমিটির এক সভায় রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সভপতিত্বে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান কমিটির সদস্য সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশালী মো. সারোয়ার জাহান।
তিনি আরও জানান, সব পিআইসিকে ওয়ার্ক ওডার দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। মোবিলাইজেশন পর্যাপ্ত। পানি পুরোপুরি না কমায় অবশিষ্ট পিআইসি গুলোতে কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে সভায় মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকল ইএনওকে নিজে গিয়ে প্রতিটি বাঁধ পরিদর্শন করে কোন ব্যত্যয় পেলে ব্যবস্থা নেযার নির্দেশ দেন। যেখানে কোন সমস্যা পাওয়া যাবে সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানান। এছাড়াও বাঁেধর পাশ থেকে যেন কেউ মাটি কাটতে না পারে সেটিও লক্ষ্য রাখতে বলেন।
সভায় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) লুৎফর রহমান, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মোহাম্মদ নূরুজাম্মান, সং¤িøষ্ট ইউএনও, জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো. নূরুল আমিন, সাংবাদিক আলপনা বেগম, এলজিইডি প্রতিনিধি, জেলা মৎস কর্মকর্তার প্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় ও সহকারী প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।