নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর মাখনা হাওরে ধান কাটতে না যাওয়ায় খাইরুল ইসলাম নামের এক শ্রমিককে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা।
নায়েকপুর ইউনিয়নের মাখনা গ্রামের আব্দুল ছালেকের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৯)। তিনি ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতিও করতেন খাইরুল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে সূত্রে জানা যায়, মাখনা গ্রামের এখলাছ ও এলাই মিয়া দুই ভাই। তাদের মধ্যে এখলাছ মিয়া তার বোনের কাছ থেকে জমি কিনে নিজের ৪০ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন প্রতিবেশি দুই চাচাতো ভাই দুলাল মিয়া ও হক মিয়ার কাছে।
ওই ক্রয়কৃত জমি দুলাল ও হক মিয়া আবাদ করলে এলাই মিয়া জমির অর্ধেক অংশ নিজের দাবি করে বাধা দেয় ধান কাটতে। দুলাল ও হক মিয়া শ্রমিক খাইরুলের বাড়িতে ধান কাটার জন্য গেলে খাইরুল না করে দেন বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটবে না। বৃহস্পতিবার সকালে হক মিয়ার পক্ষে শ্যালক লিয়াকত ও লিয়াকতের ছেলে শফিকুল জমিতে গিয়ে দেখে খাইরুল অন্য জনের জমির ধান কাটছে।
এসময় তাদের ধান না কাটায় শ্রমিক খাইরুলের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে গলায় পুচ দিলে ঘটনা স্থলেই খাইরুলের মৃত্যু হয়। পরে দ্রুত অন্য শ্রমিকরা খাইরুলকে উদ্ধার করে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যপারে মদন থানার ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মাখনা গ্রামের লিয়াকত আলীর জমির ধান কেটে দেয়ার কথা ছিলো খাইরুলের। কিন্তু আজ সকালে ধান কেটে না দিলে লিয়াকত আলির ছেলে শফিকুল গিয়ে জিজ্ঞাসা করার এক পর্যায়ে হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে খাইরুলের গলায় পুচ দেয়। এতে করে ঘটনাস্থলেই খাইরুল মারা যান। তিনি ওই এলাকার আব্দুল ছালেকের ছেলে। ওসি আরোও জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।