সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
21.1 C
Netrakona
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদ'হিজরাদের উৎপাতে ট্রেনে-বাসে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত চরম হেনস্থার শিকার হচ্ছে'

‘হিজরাদের উৎপাতে ট্রেনে-বাসে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত চরম হেনস্থার শিকার হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নেত্রকোনা থেকে ঢাকা যাওয়া-আসার পথে প্রতিনিয়তই যাত্রীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন হিজড়াদের হাতে। যাত্রীরা ট্রেন বা বাসে উঠার পর বিভিন্ন স্টেশনে ধাপে,ধাপে হিজরাও উঠে গ্রুপে করে । এমন অভিযোগ পাওয়া যায় ঢাকা-নেত্রকোনা রেলসহ বাস পথের যাত্রীদের।

বিভিন্ন সময় টিটিসহ সংশ্লিষ্ট স্টেশনে বা গাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো অভিযোগকারীর দিকে এমন ভঙ্গিতে তাকায় যেনো তারা মনে হয় খুনের মতো অপরাধ করে ফেলেছে; এমনটাই জানাচ্ছিলেন ঢাকা থেকে ট্রেনে আসা জুয়েল, তানভীর, রোদসী ও নাফিয়াসহ বেশ কজন যাত্রী।

তারা আরও জানান, বেশ কয়েকবার ছেলেরাও হিজরার বেশে কয়েকটা ছেলে এমন করায় তাদেরকে ধরেও ফেলেছেন। ভুক্তভোগীসহ ট্রেনে ঘুরে অসংখ্য জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে নেত্রকোনা আসার মুহূর্তে প্রায় ৪ ধাপে ট্রেনে হিজরা উঠে। গ্রুপে গ্রুপে ওঠে নানা কৌশল অবলম্বনে কমপক্ষে তাদেরকে ২০/১০ টাকা করে দিতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।

আর এ টাকা না দিলে অনেক অশালীন আচরণে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শনে গালিগালাজ করে। যা উচ্চারণ করে বলার ভাষা নেই অনেকের। আপ-ডাউন তাদেরকে ১০০ টাকার মতো দিতে হয়। এমন কি তারা স্টুডেন্টদের কাছে বেশি জবরদস্তি করে। কোলে বসে পড়ে। বিশেষ করে ছেলেদেরকে এই বিরক্ত গুলো করে। অনেক সময় এমন আরও নানা ধরনের অপমানের শিকার হতে হয় শিক্ষার্থী যাত্রীদের।

ফেইসবুকে পোস্ট করা ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, ‘বেশ কিছু দিন আগে আমি আর আমার ফুফাতো ভাই ঢাকা থেকে নেত্রকোনা আসছিলাম। ইতোমধ্যে আমার টাকা ছিল আমার ফুফাতো ভাই এর কাছে, আমার ভাই খাবার গাড়ির বগিতে গিয়েছিলো খাবার আনার জন্য। ঠিক এই মুহূর্তে একদল হিজরা আসে এবং আমার কাছে টাকা চেয়ে বসে এবং তখন আমি তাদের কে বুঝিয়ে বলি যে, আমার টাকা ভাইয়ের কাছে ও গিয়েছে খাবার আনতে।

এইটা বলার পর আমার সাথে এমন খারাপ আচরণ করছে যা বলার মতো না। পরে আমি অনেকক্ষণ কান্না করছি। এইভাবে অপমান হবো আমি কোন সময় ভাবতেই পারি নাই।” তিনি আরও লিখেন আমি রাজশাহী গিয়েছিলাম ও-ই লাইনের ট্রেনে কোনো হিজরা বা ভিক্ষুক উঠেনি। কিন্ত আমাদের নেত্রকোনার লাইনে এইটা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেশি হয়।

এর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউ কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয় না। একজন যাত্রী টিকিট করলেও তার নিজ নামে না হলে সেও অনেক ক্ষেত্রে জরিমানা প্রদানের মতো খেসারত দেয়। তাহলে পুরো ৫ থেকে ৬ ঘন্টা চলাচলরত সড়কে কি করে হিজরারা এভাবে মানুষকে হেনস্থা করে? এটাতে কি তাহলে ট্রেনের কর্তব্যরতরাও জড়িত কিনা তিনি সন্দেহ করেন। এদিকে একই অবস্থা নেত্রকোনা ঢাকা বাস সড়কেও। প্রায়দিন দেখা যায় গেইটলক সার্ভিসে এমন হিজরা ওঠে পড়ে বিভিন্ন পথের বাসস্টপজে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments