জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে নেত্রকোনায় ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ কথনের আয়োজন করেছে হিমু পাঠক আড্ডা। করোনাকালীন মহামারির কারণে এই প্রথম প্রিয় লেখক স্মরণে ভার্চুয়ালি অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।
প্রিয় লেখককে ঘিরে বই পড়–য়া কিছু তরুণদের নিয়ে গড়ে ওঠা পাঠক সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা প্রতি বছর জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও এবার অনলাইনে পালন করে নবম মৃত্যুবার্ষিকী। সোমবার বিকাল তিনটায় সাতপাই হিমু পাঠক আড্ডার অস্থায়ী কার্যালয় থেকে যুমের মাধ্যমে আলোচক এবং হিমুরা অংশ নেন।
লেখকের জীবন দর্শন নিয়ে স্মরণ কথন অনুষ্টানে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ছড়াকার শ্যামলেন্দু পাল, লেখক ও গবেষক স্বপন পাল।
এছাড়াও আলোচনা করেন, হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপিঠের প্রদান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, পর্যটন কর্পোরেশনে কর্মরত ফয়জুর রহমান খান, শিল্পী ভট্টাচার্য্য, খন্দকার রানা, সাংবাদিক রিফাত আহমেদ রাসেলসহ হিমু ভক্তরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক আলপনা বেগম।
এসময় বক্তারা বলেন, হুমায়ূন আহমেদ তার প্রতিটি লিখায়, নাটকে এবং সিনেমায় কিছু না কিছু বার্তা দিতেন। সাধারণ মানুষের কাছে আনন্দের সাথে বার্তাগুলো পৌঁছানোর যে স্বতন্ত্র কৌশল সেটা তিনি ছাড়া কারো পক্ষে এভাবে সম্ভব না। যেমন তিনি এক নাটকে পাখির মুখে তুলে দিয়েছিলেন ‘তুই রাজাকার’ শব্দটা। যা মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকেই ধারণ করে। এমন অসংখ্য বই তিনি লিখে গিয়েছেন। যা তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে, বইয়ের গভীরে ঢুকে পড়তে হবে। আর বেশি বেশি করে বই পড়তে হবে এই জন্যে যে, বই পড়ার মধ্য দিয়ে মানুষের জ্ঞান বিকশিত হয়।
আর এমন একজন লেখকের বই পড়ে কেউ অন্যায়ের প্রতি ধাবিত হতে পারবে না। কাজেই সাহিত্য থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়েই সমাজ উন্নত হয়। এমন উন্নত সাহিত্যকে ধারণ করে লালন করেই এগিয়ে যেতে হবে। যে কারনে মাহামরিতেও লেখককে তার কর্মময় জীবন নিয়ে কথা বলার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করাই মূল উদ্যেশ্য।
এছাড়াও লেখকের জন্মস্থান নানার বাড়ি মোহনগঞ্জের শেখ বাড়িতে এবং পৈত্রিক ভিটা কেন্দুয়ার কুতুবপুরে নিজ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।