প্রতি বছরের ন্যায় এবারো কিংবদন্তী লেখক কথা সাহিত্যিক ড. হুমায়ূন আহমেদের ১০ম প্রয়াণ দিবসে ‘স্মরণ কথন’ এর আয়োজন করেছে হিমু পাঠক আড্ডা। প্রিয় লেখকের জন্মস্থান নিজ জেলায় হুমায়ূন ভক্তরা লেখকের প্রয়াণের দিন থেকেই স্মরণ করে যাচ্ছে প্রতিবছর। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের ছাদে সকালে সাড়ে ১০ টায় কালো ব্যাজ ধারন। পরে ১১ টায় স্মরণ কথনে লেখকের জীবনী নিয়ে আলোকপাত করবেন বক্তারা।
অন্যদিকে লেখকের জন্মভিটা মোহনগঞ্জ উপজেলার শেখ বাড়ি নানার বাড়িতে মিলাদ ও কুরআনখানি তেলাওয়াত এবং পৈত্রিক ভিটা কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠে মিলাদ, কুরআন খানি তেলাওয়াত এবং শোকর্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে এমন একজন লেখকের অকাল প্রয়াণে সাহিত্যাঙ্গণে অনেকটা ভাটা পড়েছে বলে মন্তব্য করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মরা হুমায়ূন আহমেদকে শুধু অনুকরণ করলে লেখক হতে পারবেনা। লেখক হতে গেলে হুমায়ূন আহমেদ যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকে শুরু করতে হবে। তাকে ছাড়িয়ে যেতে হবে। তবেই সাহিত্য আবারো জেগে উঠবে।
তিনি আরো বলেন নেত্রকোনায় হিমু পাঠক আড্ডা হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে জেলা শহরে প্রতি বছর জন্মদিনে হিমু উৎসব এবং প্রয়াণ দিবসে স্মরণ কথনের যে আয়োজন করে এতে নেত্রকোনায় তরুণদের মাঝে এক ধরের উৎসাহ বিরাজ করে। আমি দেখেছি একদল তরুণ তরুণী লেখককে মনে প্রাণে ধারণ করছে। এতে করে কিছুটা হলেও সাহিত্যের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ছে বলে আমি মনে করি। এটির ধারাবাহিকতা বজায় বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
কিংবদন্তী লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় তার কর্মময় জীবন আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই প্রতি বছর লেখকের প্রয়াণ দিবসে শোক পালনের আয়োজন করে। লেখকের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন তুলে ধরার মধ্য দিয়ে নিজ জেলার প্রজন্মকে উৎসাহিত করতেই লেখককে স্মরণ করে নেত্রকোনার তরুণদের সাহিত্য পাঠের সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডা।
উল্লেখ্য, মায়ের প্রথম সন্তান হিসেবে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নানার বাড়ি নেত্রকোনার মোহগঞ্জ পৌর শহরের শেখ বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন কিংবদন্তী এই কথা সাহিত্যিক। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।