সোহান আহমেদ:
আসন্ন ঈদুল অযহাকে সামনে রেখে নেত্রকোনায় গরু মোটাতাজা করছেন খামারি ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা। এরমধ্যে কোন রকম ক্যামিক্যাল ছাড়াই প্রায় ১১শ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির গরু লালন পালন করে সারা ফেলে দিয়েছেন প্রান্তিক এক কৃষক পরিবার। গরুটির স্বভাবের সাথে মিল রেখে নাম দেয়া হয়েছে নবাব। পশুটি দখেতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন নবাবের বাড়িতে। এদিকে জেলায় এবার চাহিদার চেয়েও বেশী পশু পস্তুত রয়েছে। তাই ঈদকে সামনে রেখে পশুর শরিরে কোন প্রকার ক্যামিক্যাল ব্যবহার না করতে সার্বক্ষনিক খোজ খবর ও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
প্রতি বছর ঈদুল আযহায় জেলায় প্রায় এক লাখ পশু কোরবানী করা হয়। আর এই ঈদকে সামনে রেখেই গরু মোটাতাজা করেন নেত্রকোনার ৭ শতাধিক খামারিসহ প্রান্তি পর্যায়ের কয়েক হাজার কৃষক। এবারও লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। এরমাঝে প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে লালিত হওয়া উল্লেখযোগ্য গরু হিসেবে রয়েছে সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের মাসকান্দা গ্রামের নবাব নামের বিশাল আকৃতির এই গরুটি। নিজেদের গুহালে জন্ম নেয়া ব্রাহামা জাতের একটি বাছুর গেল ৪ বছর অত্যান্ত যত্ন সহকারে লালন পালন করেছেন ৪ ভাই। ছোট থেকে গরুটির স্বভাবের সাথে মিল রেখে নাম রেখেছেন নবাবা। বর্তমানে গরুটির উচ্চতা ৫ ফুট ওজনে প্রায় ১১শ কেজি।
বিশাল আকৃতি সম্পন্ন গরুটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ভিড় করছেন ক্রেতা দর্শনার্থীরা। ভালো দাম পেলে বাড়িতে রেখেই নবাবকে বিক্রি করতে চাইছেন পশুটির মালিকেরা। আর বিশাল আকৃতির নবাবকে দেখে পশু পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবেন অনেকেই।
এদিকে এবছর চাহিদার চেয়েও বেশী পশু প্রস্তুত রয়েছে। খামারি ও প্রান্তিক পর্যায়ের মোটাতাজা হওয়া পশুতে যেন কোন রকম ক্যামিক্যাল ব্যবহৃত না হয় সেদিকে নজরদারিসহ ন্যায্যমূল্য পশু বিক্রি করতে অনলাই হাটের ব্যবস্থা করছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ জানিয়েছেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা। চলমান করেনা সঙ্কটের মাঝেই লালিত পশু ন্যয্য মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হবেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও খামারিরা। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।