নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে সদর উপজেলার পারলা গ্রামে কদমতলী মোড় নামক স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঈদের ছুটিতে গ্যারেজ শ্রমিকরা বাড়িতে যাওয়ায় খালি পড়ে থাকা সিলেট মটরস ও নাইম মটরসের গ্যারেজে সোমবার মধ্যরাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার গাড়িসহ যন্ত্রাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। এদিকে মধ্যরাতে এমন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও শহরজুরে খবর ছড়ায় মঙ্গলবার (১০ মে) বিকালে। এসময় আশপাশের স্থানীয়সহ সকলেই অভিযোগ তুলেন ফায়ার কর্মীদের উপর।
ক্ষতিগ্রস্থ সিলেট মটরস মালিক মো. আজিজুল ইসলাম ও নাঈম মোটর গ্যারেজ মালিক মো. ইব্রাহিম জানান, গ্যারেজে থাকা তিনটি প্রাইভেট কার ও তিনটি হায়েজ মাইক্রোসহ যন্ত্রপাতি মিলিয়ে অন্তত দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে তাদের। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন মালিকরা। ব্যাংকের ঋণ কি করে শোধ করবেন এখন এটিই ভাবনা। তবে ঈদের ছুটিতে গ্যারেজ বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।
মালিক আজিজুল বলেন খবর পেয়ে বাসা থেকে বের হতে হতে ফোন দিলেও কাউকে পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে ত্রিপল নাইনে ফোন দিয়েছি। সময়মতো ফায়ার সার্ভিস ফোন ধরেননি। ঘটনাস্থল কাছাকাছি হলেও দীর্ঘক্ষন পর ঘটানাস্থালে পৌঁছায় ফায়ারকর্মীরা। এতে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। জেলার আটপাড়া ও সাতপাই থেকে আমরা মালিকরা পৌঁছার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পোঁছেছে। এর আগে স্থানীয়রা পাশের কার ওয়াশ থেকে পানি দিতে থাকে। পরে তারা গেলে তাদের গাড়িতেও পানি ছিলোনা। এরপর পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে ব্যবস্থা করে দিলে পানি দেয়া হয়।
এদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাকের জন্য গাড়ি ঘুরিয়েও সময়মতই ঘটনাস্থালে পৌঁছে অন্যান্য বড় ক্ষতি থেকে রক্ষার দাবি করেন নেত্রকোনা ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ মো. আনোয়র হোসেন। তিনি বলেন ডিউটি সদস্য বেল বাজাতেই ওঠে চলে গেছেন তারা। ঘটনাস্থলে স্থানীয় কাউকে কোন কাজ করতে দেখেননি তিনি। সবাই দাঁড়িয়ে দেখছিলো। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন দূর্ঘটনা কবলিত একটি প্রাইভেট কারের সিলিন্ডিার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর কাঁচা গ্যারেজ থাকায় দ্রæত ছোট জায়গায় বিস্ফোরক দ্রব্য থাকায় আগুন দ্রæত গাড়িগুলোতে লেগেছে।