অসহায় অবস্থার কথা শুনে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বাউল সাধক উকিল মুন্সির পুত্রবধূর চিকিৎসা সহায়তায় তাৎক্ষণিক ভাবে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কক্ষে বাউল কবি ফুলবানুর ছোট ছেলে বাউল কুলকুল আহম্মেদের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।
চিকিৎসার অভাবে শয্যাশায়ী ফুলবানুর চিকিৎসা করাতে এই অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি সমাজ সেবার সহায়তার জন্য একটি আবেদনে অনুমোদন করে দিয়েছেন।
এর আগে চিকিৎসার অভাবে উকিল মুন্সির পুত্রবধূ শয্যাশায়ী এ নিয়ে সাংবাদিক আলপনা বেগম একটি পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে এবং সংবাদ প্রকাশ করেন। অর্থ পেয়ে বাউল কুলকুল আহম্মেদ জানান, এই মুহুর্তে তাদেরকে সহায়তা করার কেউ ছিলো না। ঢাকার উত্তরায় একটি চায়ের স্টল দিয়ে সংসার চালান।
এর থেকেই আবার বাড়িতে মায়ের খাওয়া এবং অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তার বড় দুই বোন গত পাঁচমাস ধরে সহায়তা করে যাচ্ছে। ছোট বেলা থেকে মা বাবার সাথে বাউল গান করায় পড়াশোনা বা আর কোন কিছু করে ওঠা সম্ভব হয়নি।
বাড়ি ঘর ছেড়ে দাদা বাউল সাধক উকিল মুন্সির চলে যাওয়ায় সহায় সম্পদের উপর অন্যাদের ভোগদখল চলছে। যে কারণে সম্পদ থাকলেও তারা এখন ওই সম্পদের কিছু পাচ্ছে না। পাশাপাশি নিজেদেরও সবাই এক সময় বাউল গান করায় অন্য কোন পেশায় অভ্যস্ত হতে পারেনি। যে কারণে চা য়ের দোকান দিয়েই কোন রকম চলে জীবন।
জেলা প্রশাসক এই সঙ্কট মূহুর্তে তাদের দিকে তাকিয়েছেন এই জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি ও তার পরিবার। এদিকে জেলা প্রশাসক জানান, এমন ঘটনা আসলেই দুঃখজনক। সকলেই দৃষ্টি দিলে সমস্যা থাকবে না। এছাড়া উকিল মুন্সি স্মৃতি কেন্দ্রটি হয়ে গেলে পরে একটা ব্যাবস্থাও করে দেয়া যাবে। তিনি বলেন তিনি উকিল মুন্সির স্মৃতি কেন্দ্র এবং তাদের বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন।