হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া: চার দিকে সবুজের সমারহ তার পাশের জমিতে যদি বেগুনী রং হয়। তাহলে দেখতে কেমন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তাইতো প্রতিদিন সকাল বিকাল সবুজের মাঝে বেগুনী রঙের ধানের জমি দেখতে দূর দুরান্ত থেকে অনেকে ছুটে আসেন। অনেকে মোবাই ফোনে ছবি তুলেছেন। ধানের জমিটি জেলা-উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কের পাশে হওয়ায় সহজে অনেকের নজরে পড়েছে।
ধানের জমিটি নেত্রকোনা-কেন্দুয়া সড়কে পাশে কেন্দুয়া পৌরসভার টেঙ্গরী মহল্লার আরশ খাঁন নামে এক কৃষক বেগুনী রঙের ধান চাষ করে এলাকায় সাড়া জাগিয়ে তুলেছেন।
এ বিষয়ে কৃষক আরশ খাঁন বলেন, গত বছর বোর মৌসুমে, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে সিলেট মোলুভী বাজার এলাকা থেকে ১ কেজি বেগুনী রঙের বীজ ধান সংগ্রহ করে তার জমিতে রোপন করেছিল। এরপর চলতি বোর মৌসুমে তিনি ৭০ শতাংশ জমিতে বেগুনী রঙের ধান চাষ করেছেন।তি নি বলেন, ধানের জমি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন লোকজন আসছেন। এছাড়াও কৃষি অফিসের লোকজন নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ দিনে আলমগীর চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নেত্রকোনা যাওয়ার পথে হঠাৎ চোখে পড়ল বেগুনী রঙের ধান ক্ষেত তাই দাঁড়িয়ে দেখলাম, প্রথম মনে হলেছিল, ধান ক্ষেতে হয়তো কোন সমস্য হয়েছে। কারন আমাদের চার দিকের সব ধানের জমি রং সবুজ হঠাৎ বেগুনী রঙের দেখে চমকে উঠলাম। পরে জানতে পাড়লাম এটা বেগুনী রঙের ধান। দেখে ভাল লাগল, আগামি বোর মৌসুমে তিনি নিজেও কিছু জমিতে এ ধান চাষ করবে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও রফিকুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কৃষি অফিসের লোকজনের কাছ থেকে শুনে নিজ চোখে বেগুনী রঙের ধানের জমি দেখতে এসেছেন। তিনি ও বলেন আগামি বোর মৌসুমে কয়েক শতক জমিতে তিনি ও বেগুনী রঙের ধান চাষ করবেন বলে আগ্রাহ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার এ.কে এম শাহজাহান কবির বলেন, গত বছর সাবেক উপজেলা কৃষি অফিসার তিনি সিলেট এলাকা থেকে এই জাতীয় ধান সংগ্রহ করে এনে পৌরসভার টেঙ্গরী গ্রামের আরশ খাঁনের মাধ্যমে অল্প জমিতে চাষ করিয়েছিলেন।
এ বছর কৃষক নিজে থেকে ৭০শতাংশ জমিতে চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পেলেছে। তাছাড়া এ জাতীয় ধানের অন্য যেকোন ধানের চেয়ে পুষ্টি বেশি বা বাজারে ধানের দাম ও বেশি তাই এই ধান চাষ করলে কৃষক লাভবান বেশি হবে। তাই এখন অনেক কৃষক বেগুনী রঙের ধান চাষ করতে আগ্রাহ প্রকাশ করছে।।
এছাড়া আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষক আরশ খাঁনের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।