শফিকুল ইসলাম তালুকদার, খালিয়াজুরী:
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে কৃষকদের নিজ উদ্যোগে তৈরি করা একটি বেড়িবাঁধ দেখিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্যের ভাই এ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের মমিননগর, যোগিমারা, আদাউড়া ও রৌয়াইল গ্রামের কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার জন্য নিজের উদ্যোগে এবং অর্থায়নে মমিননগর গ্রাম থেকে চিনামারা বিল পর্যন্ত একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। কিন্তু ওই বাঁধটিকে দেখিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন টিআর প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়ে) থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নেন ৫নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা নিতাই চন্দ্র সরকারের ভাই রামচরণ সরকার ও সাবেক মেম্বার নিতু রঞ্জন তালুকদারের ভাই নূপুর রায় তালুকদার।
ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শ্রীচরণ সরকার ভোলা বলেন, চার গ্রামের কৃষকরা চাঁদার টাকা তুলে মমিননগর থেকে যোগিমারা গ্রামের চিনামারা বিল পর্যন্ত বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করেন। এখানে কোনো সরকারি টাকা ব্যয় করা হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে রামচরণ সরকার ও নূপুর রায় তালুকদার এটিকে টিআর প্রকল্পের ভূয়া কাজ দেখিয়ে প্রথম কিস্তির ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেন। বাকি টাকাও তোলার পায়তারা করছেন।
এ ব্যাপারে ভুয়া প্রকল্প কমিটির সভাপতি নূপুর রায় তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে মোবাইলে কথা বলবো না। আমি আপনার সাথে সরাসরি দেখা করবো।’ এদিকে প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক রাম চরণ সরকার জানান, ‘আমরা আগে ওই বাধে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটেছি। পরে কৃষকরা আমাদের কাটা মাটির উপর আরও মাটি দিয়ে উঁচু করেছেন।
খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আবু ইছহাক বলেন, ‘আমার জানামতে এই বাঁধটি আদাউড়া, যোগিমারা, রৌয়াইল ও মমিননগর এলাকার কৃষকরা নিজেদের অর্থায়নে তৈরি করেছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজীব আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। আমরা খতিয়ে দেখব। যদি ভুয়া প্রকল্প হয়- তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’