নেত্রকোনায় আবেদন করলেই ভোটার তালিকায় থাকা মৃতদের আবারও নাম উঠবে জীবিতদের তালিকায়। নিজ নিজ উপজেলাতে সার্ভার ষ্টেশনে আবেদনের মাধ্যমেই এমন ভোগান্তি কমবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।
তিনি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদরে সময় তথ্য প্রদানকারীদের মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং সংগ্রহকারীদের ভুল তথ্য শোনার কারণে এমন অনেক স্থানে জীবিত ব্যাক্তিদের নাম মৃতদের তালিকায় উঠে গেছে। যে কারনে তারা নানা সমস্যায় পড়েছেন। ভোট দিতে পারেননি।
তবে এখন থেকে আর নির্বাচন কমিশেনে যেতে হবে না তাদের। সরাসরি এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন করলেই মিলবে সংশোধন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলায় ৩৮ জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এমন মৃতদের তালিকায় চলে যাওয়া ব্যাক্তিদেরকে পুনরায় জীবিত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। একটি আবেদনও পেইন্ডিং রাখা হয়নি।
তারমধ্যে দুর্গাপুরে ১০ টি, মদনে ৪ টি, সদরে ৮ টি, আটপাড়া ৫ টি, কেন্দুয়া ৬ টি, বারহাট্টায় ৩ টি ও কলমাকান্দার ২ টি আবেদন পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের খানা জরিপ অনুযায়ী জেলায় জনসংখ্যা রয়েছেন ২৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৩৪ জন। ভোটার রয়েছে ১৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮০৪ জন।
জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছেন যাদের নাম হাল নাগাদ ভোটার তালিকায় মৃতদের মধ্যে রয়েছে। অনেকেই ভোট দিতে গিয়ে অথবা স্মার্ট কার্ড আনতে গিয়ে, জমি বেচা-কেনা সহ বিভিণœ ভাতাও চাল ডাল নিতে গেয়ে দেখেন তারা মৃত। যে কারনে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
তারা অভিযোগ, ভোটার কার্ড থাকলেও গেলো নির্বাচনে ভোাট দিতে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে। নাম নেই তালিকায়। রয়েছেন মৃত।
জেলার পাহাড়ি উপজেলা দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বারইকান্দি গ্রামেই রয়েছেন এমন চার বাসিন্দা মৃত আছিয়া খাতুন (৫৫), জামাল মিয়া (৪৫), ইদ্রিস আলী (৫৪) ও সুবাহান মিয়া (৭৫) অভিযোগ তুলেন তথ্য সংগ্রহকারীদের ইচ্ছাকৃত ভুলের শিকার তারা। তাদের দাবী এমন সমস্যা সমাধান করে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক। আইনের আওতায় আনা হোক তাদেরকে যারা বিভিন্ন দোকানে বসে জড়িপ করেছেন।