নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ সড়কের কৃষ্ণাখালি নামক স্থানে পিকাপ সিএনজি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রী নিহত হন ও হাসপাতালে নিলে আরও একজনকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক। দুর্ঘটনায় সিএনজিতে থাকা মা ও মেয়ে আরও দুই যাত্রী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে সিএনজি চালক পালিয়ে গেলেও পিকাপ ভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলার সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া কৃষ্ণাখালি ব্রিজের কাছে কালিবাড়ি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা এবং পিকাপ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নিহতরা হলেন, বারহাট্টা থানার আসমা ইউনিয়নের মনাষ গ্রামের তুলসি চন্দ্র দাসের ছেলে হারাধন চন্দ্র দাস (৩৬) ও সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের রমনী চন্দ্র সরকারের ছেলে রমেশ চন্দ্র সরকার (৪৮)। তারা দুজন আত্মীয় সূত্রে অন্য যাত্রীদের সাথে সিএনজি যোগে নেত্রকোনা আসছিলেন।
আহত হওয়া আরও দুই যাত্রী ঠাকুরোকোনা ইউপির বাইশধার এলাকার নুরুজ্জামনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও মেয়ে মুক্তা আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মোহগগঞ্জ থেকে নেত্রকোনার দিকে চারজন যাত্রী নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাটি আসার পথে বিপরীত দিক থেকে মাছ বাহী একটি পিকাপ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দুর্ঘটনায় সিএনজিটি দুমরে মুচরে যায়। এরই মাছে সিএনজি চালক পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়া পিকাপ ভ্যানের চালক ঠাকুরাকোনার সুধীর বর্মণের ছেলে শিপন বর্মন (২০) জানায়, দুর্ঘটনা ঘটার পরিস্থিতি দেখেই সিএনজি চালক চলতি গাড়ি থেকে নেমে যায়। যে কারনে দুজন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং দুজন মারা গেছেন। শিপন সদরের কুমড়ি এলাকা থেকে মাছ নিয়ে ঠাকুরাকোনা বাইশধার যাচ্ছিলো।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা ফায়ার স্টেশনের অফিসার খানে আলম জানান, ঘটনাস্থলেই একজনকে মৃত পেয়েছি। তবে তাৎক্ষনিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। নেত্রেকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, নিহত একজন হারাধন (৩০) ও রমেশ চন্দ্র সরকার (৪৫)। দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজি এবং পিকাপ জব্দ করা হয়েছে। চালক আটক অছে। তবে সিএনজি চালক পালিয়ে গেছে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট করছে। সড়ক আইন মেনে সে অনুযায়ী মামলা হবে বলেও জানান তিনি।