নেত্রকোনার দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে এক কোম্পানির ঔষধ না লিখায় বিক্রয় প্রতিনিধির হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন মেডিকেল অফিসার। চিকিৎসক মেহেদি হাসান প্রতিদিনের ডিউটির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন। এসময় এই ঘটনাটি ঘটে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রোগীদের সেবা প্রদান কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে।
খবর পেয়ে এ ঘটনায় পুলিশ রিলায়েন্স ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি মাহফুজ মোরলকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। মাহফুজ মোরল স্থানীয় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওই চিকিৎসক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে থানার ওসির সরকারি নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিয়েও বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে দুর্গাপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) তানজিরুল ইসলাম রায়হান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এমন রিলায়েন্স নামক কোম্পানির নাম আমরা শুনিনি। ওই কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ মাহফুজ তার একটা ছোট খাট ডায়াগনস্টিক সেন্টারও রয়েছে। সে হাসপাতালে এসে জোর জবরদস্তি চালায়। এমনিতেই করোনা সংকটে আছি। চিকিৎসক সংকট। তার উপর এমন আচরণ আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে। তার কোম্পানির ঔষধ না লিখায় সে এসে হাসপাতালের ভিতরে মারধর করেছে।
এভাবে আমরা চিকিৎসা দিবো কি করে। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এসে তাকে ধরেও নিয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তাও চাই। তা না হলে রোগীদের সেবা দেয়া আমাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়বে।