উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও অব্যাহত বর্ষণে বাড়ছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী ও কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীর পানি। দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারনে শুক্রবার সকাল থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সোমেশ্বরী নদীর পানি। দ্রæত গতিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল থেকে নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের ভেতর পানি প্রবেশ করেছে। যদিও কয়েকঘন্টা পরে আবার ওই এলাকার পানি নেমে যায়। এরপরও অতি বৃষ্টিতে উপজেলার নীচু সড়কসহ এলাকাগুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, মসজিদ ও বাজারসহ বেশ কিছু বাড়ি ঘর।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, দুপুর পর্যন্ত সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীর পানি ৫৬ সেন্টিমিটার উপরে হলেও কংস নদীর পানি জারিয়া পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের চকলেঙ্গুগুরা, শিবগঞ্জ ডাকুমারা কুল্লাগড়া কামারখালী ও গাওকান্দিয়াসহ নদী তীরবর্তী এলাকায় শতাশিক মানুষ পানিবন্দি। এছাড়াও অতিবৃষ্টির পানি উপচে যাতায়াতের সড়ক বন্ধ হওয়ায় এবং ড্রেনগুলো দিয়ে ঢলের পানি বাজারে প্রবেশ করায় দুর্গাপুর, মেছুয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে প্রায় হাঁটু সমান পানি হয়ে পড়েছে। ফলে আতঙ্কে এখন দুর্গাপুর পৌরসভা উপজেলার শতাধিক বাসিন্দা।
এদিকে কলমাকান্দা উপিজেলার উব্দাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির নিচে শহরের প্রধান সড়কগুলো। ফলে গ্রামীণ জনপদের হাটবাজার, হাসপাতাল চত্বর, উপজেলা পরিষদ চত্বরে পানি। এদিকে প্রচুর বজ্রবৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে বার বার। নষ্ট হচ্ছে ট্রান্সফরমার। ফলে রাত থেকে অনেক এলাকায় ছিলো না বিদ্যুৎ সরবরাহ। এদিকে দূর্গাপুরে কাজ করছেনা গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্কও। যোগাযোগ হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলালিংক নেটওয়ার্কে।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, বসুন্ধরা গ্রæপের দেয়া শুকনো খাবার বিতরণ করছে জেলা প্রশাসন। সেটির ধারবাহিকতায় প্লাবিত এলাকার চিহ্নত করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলায় এক হাজার করে প্যাকেট বিতরণ করা হবে যাতে চাল, ডাল, মুড়ি রয়েছে।