দীর্ঘদিন গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার পর আজকের বৃষ্টিতে স্বস্তির নিঃসশ্বাস ফেলেছেন সাধারন মানুষ। নেত্রকোনা শহরের মগড়ার পাড়ে বৃষ্টিতে সবুজ পাতারাও পেয়েছে প্রাণ। ধুলোবালি সরে সতেজতা এসেছে গাছ পালাতেও।
তবে অনেককে ভোগান্তি পোহাতে হলেও প্রচন্ড গরমের পর শান্তি পেয়েছেন বলে জানান তারা। এর মাঝে এই বৃষ্টিতে নিন্ম আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বেশি ভোগান্তিতে।
থেমে থেমে চলায় তাদের যেমন সময় যাচ্ছে তেমনি আয়ও কম হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে থেমে থেমে চলছেন তারা। ডিম বিক্রেতা বলছেন আরাম পেয়েছি কিন্ত ১০ বাড়ি যাওয়ার বদলে তিন থেকে চারটি বাড়িতে যেতে পারছেন ওই সময়টাতে।
ফলে সড়কের পাশে মানুষের বাসাবাড়িতেই নিচ্ছেন আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। হকাররা রেইন কোর্ট ছাড়াই ভোগান্তির মধ্যে পাঠকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন পত্রিকা। পত্রিকার হকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, বৃষ্টি হওয়ায় গরম থেকে বেঁচেছেন। কিন্তু পত্রিকা গুলো পাঠকের হাত পর্যন্ত পৌঁছে দিতে প্রচন্ড কস্ট হচ্ছে।
একে তো পলিথিন দিয়ে মুড়ানো থাকলেও ভিজে গলে যাচ্ছে। অন্যদিকে নিজেদের রেইনকোর্ট না থাকায় কষ্ট হচ্ছে। থেমে থেমে দিতে হচ্ছে। এতে দেখা গেছে দুপুরের আগেই যেখানে সবগুলো বিক্রি হতো এখন প্রায় সারাদিন লেগে যাবে। এদিকে গ্রামাঞ্চলে ধান শুকানোর কিছুটা বেঘাত ঘটলেও শহরের মানুষের কাছে কাঙ্খিত ছিলো এই বৃষ্টি।
এক সময়ের রিক্সা চালক মুসলেমের ছেলে মেয়ে গার্মেন্টস করায় এখন জমিও কিনেছেন অল্প। তিনি বলেন দুইঘ্নটা ধরে যেতে পারছিনা। আরাম লাগছে কিন্তু পুরাপুরি দাওয়া মারির সময় অর্থাৎ ধান শুকানোর সময় এখন কিন্তু বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাবে। এই সিজনে বৃষ্টি যেমন প্রয়োজন আর কয়েকটা দিন পরে হলে ধান শুকিয়ে গোলায় তোলা যেতো।