নেত্রকোনায় লক ডাউনের ষষ্ঠ দিনে আজ সোমবার বেপরোয়া সাধারণ মানুষ। গেলো ৫ দিন ঢিলেঢালা চললেও আজ যেনো বাধভাঙ্গা মানুষের চলাচল। লক ডাউনের প্রথম থেকেই বিনা কারণে বের হওয়া মানুষদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাক বিতন্ডায় পাহারা এখন অনেকটাই শিথিল। নেই প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাও। যে কারনে মোড়ে মোড়ে মানুষের ভীড় লক্ষনীয়। বিভিন্ন দোকান ঘিরে মানুষের জটলাও লক্ষনীয়। অনেকেই আবার পুলিশ দেখলে সে সকল দোকানের পাশ ছেড়ে দিচ্ছেন।
পুলিশও সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে বলতে ব্যার্থ হচ্ছেন। কড়াকড়ি করতে গেলেও বিভিন্ন সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। যে কারনে বিপদে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
শহরের থানার মোড় থেকে তেরিবাজার পর্যন্ত রিক্সা অটো চলাচলও বেপরোয়া। একই অবস্থা শহরের তেরিবাজের থেকে শহীদ মিনার মোড় হয়ে মোক্তারপাড়া। শুধু কাঁচা বাজারই নয় নানা কারণে মানুষের আগের মতো চলচলে ভিড় বেড়েছে। সড়ক ফিরে পেয়েছে প্রাণ। এদিকে করোনা আক্রান্তের অবস্থাও লাগামহীন। বাদ যাচ্ছে না ভিআই পি রাও।
ইতিমধ্যে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান স্ত্রী সহ করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থও হয়েছেন। অন্যদিকে এর পরপরই নব নির্বাচিত তিন তিন বারের পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান পরিবারসহ করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার পিজিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নেই নেত্রকোনায় করোনা আক্রান্তদের জন্য নুন্যতম চিকিৎসার ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে নেত্রকোনা যেনো এক ভয়ংকর বিপদের দিকে ধাবমান।
গতকাল ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া গেছে ১০০২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৮৯৭ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ১৮ জন। এদিকে নেত্রকোনায় নেই করোনা শনাক্তের ব্যবস্থাও। যে কারনে নমুনা নিয়ে পাঠাতে হয় ময়মনসিংহে। সেখান থেকে আসে কয়েকদিন পর। আবার কিছু কিছু আসেই না। এ পর্যন্ত ১৪১৮৮ টি নমুনা পাঠানো হলেও রিপোর্ট আসে ১৩৯৭৫ টির।