নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার পাগলী গ্রাম থেকে সোনিয়া আক্তার (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশের গ্রামের এক বখাটে ফেসবুকে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ছেড়ে দেওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় পরিবারের লোকজন। শুক্রবার দুপুরে নিজ বসতঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিকালে বখাটের বিরুদ্ধে বারহাট্টা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর বাবা। সোনিয়া ওই গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে এবং মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বখাটে অভিযুক্ত পার্শ্ববর্তী বাসাউড়া গ্রামের কান্দারবাড়ির হারিছ মিয়ার ছেলে গার্মেন্টকর্মী শাকিল (২২)।
সোনিয়ার ফুফু সেলিনা, মামা বাবুল মিয়া জানায়, বেশ ক’বছর ধরে গার্মেন্টকর্মী শাকিল সোনিয়াকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে বন্ধুদের নিয়ে কৌশলে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে শাকিল।
সম্পর্কে জড়াতে না চাইলে প্রতিশোধ নিতে ফেসবুকে সোনিয়ার সেই ছবি ছড়িয়ে দেয় শাকিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায় পরিবারটি। সর্বশেষ বিভিন্ন কথাবার্তা লিখে সোনিয়াকে হুমকি দেয় শাকিল।
ফলে লোকলজ্জা এড়াতে আত্মহননের পথ বেছে নেয় সোনিয়া। শুক্রবার সকালে নিজ কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সোনিয়া। বিষয়টি টের পেয়ে দরজা ভেঙে লোকজন তাকে ঘরের একটি আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য অভিযুক্ত শাকিলকে পাওয়া যায়নি।
বারহাট্টা থানার ওসি মুহাম্মদ লুৎফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শাকিলের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।