প্রেম সংক্রান্ত জেরে যুবকের লিঙ্গ কর্তন চেষ্টার অভিযোগে নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানায় এক নারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন ওই যুবকের বড় ভাই। দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ নুর এ আলম মামলা দাযেরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই যুবক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার লিঙ্গ কর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিলো। এখন তিনি ভালো আছেন।
ভুক্তভোগী যুবকের ভাই এক নারীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী পুলিশের এস আই মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ জানান, মামলার এজাহার দিয়েছে। (বুধবার রাত) এখনো লিখা চলছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে আসল ঘটনা বের করা যাবে। কারণ এক পক্ষের কথা শুনেছি। উভয় পক্ষের কথা শুনলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, ওই নারী এবং যুবক একই উপজেলার। মামলায় উল্লেখ্য, ওই যুবক বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং ও মোবাইল ফোনে গান ডাউনলোড এর কাজ করেন। সেই সুবাদে ওই নারীর সাথে পরিচয় ঘটে। এরপর প্রায় সময় ভুক্তভোগী যুবককে ওই নারী নানান প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু এতে যুবকটি রাজি না হওয়ায় যুবকের বন্ধুদের কাছে ওই নারী বিভিন্ন সময়ে নালিশ করে এবং দেখে নেয়ার হুমকিও দেয়। এক পর্যায়ে প্রায় ১ বছর ধরে ওই নারীর মোবাইল ফোন ধরেনি যুবক। পরবর্তীতে গত দুই সপ্তাহ আগে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নলুয়াপাড়া চায়না মোড় ব্রিজের ওপর থেকে ওই যুবককে তুলে নেয় সেই নারী। গামছা দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অটোরিকশায় করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় ওই নারী তার বাবা, দুই ভাই এবং অজ্ঞাত আরো চারজকে নিয়ে। পরে ছুরি বের করে অন্যান্য অভিযুক্তদের সহায়তায় ভুক্তভোগী যুবকের লিঙ্গ কেটে দেয় ওই নারী। একপর্যায়ে ওই যুবক জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পরে তার জ্ঞান ফিরলে তার সাথে থাকা মোবাইলে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানালে চন্দ্রকোনার ব্রিজ সংলগ্ন বালুচর থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে স্বজনরা। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন বুধবার রাতে এ ঘটনায় যুবকের বড় ভাই বাদী হয়ে অভিযুক্ত নারী, নারীর পিতা, দুই ভাইসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে দূর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।