হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
পরিবারের লোকজন বলছে তার বয়স এখন আঠার। এক বছর আগে এই তরুণী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। পরে স্থানীয় লোকজন মিলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য শালিস বসিয়ে ৮ হাজার টাকার মাধ্যমে মীমাংসা করে স্থানীয় মাতব্বরগণ।
এরপর থেকেই ওই তরুণী আস্তে আস্তে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তাই পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়কের পাশে ভরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ভিকটিম ও তার মা এবং দুই ভাই কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ছোট একটি ঘরে বসবাস করেন।
ভিকটিম পরিবারের একমাত্র মেয়ে তার দুই ভাই রয়েছে। তাদের মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। এই অবস্থায় চলতে গিয়ে এলাকার এক মহিলার যোগসাজশে স্থানীয় এক বখাটে কর্তৃক ভিকটিম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। ভিকটিমের ছোট ভাই বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে তারা প্রশাসনের সাহায্য নিতে পারেননি।
একপর্যায়ে এলাকার মাতাব্বরগণ একটা গ্রাম্য শালিস বসিয়ে তার বোন ভিকটিমের চিকিৎসাবাবদ ওই অভিযুক্তের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। সেই টাকা দিয়ে ভিকটিমকে চিকিৎসা করা হলেও তার বোন সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারেনি। তাই ভিকটিমকে এখন শিকল দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মেয়েটির মা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানান।।
এই বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়ে ছিল। তবে ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।