Saturday, October 12, 2024

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
নেত্রকোনার কলমাকান্দার দক্ষিণ মুন্সিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন পালিত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বারান্দার সামনেই চার দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে।
পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে স্থানীয় বাসিন্দা ঝুমা আক্তার, ভাই সোহরাব উদ্দিন ও বোনেরা ওই জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যানারে মাঠটি দখল মুক্ত করার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ওই সময় মুন্সিপুর গ্রামের জিএম তাজুল ইসলাম তালুকদার মুন্সিপুর মৌজার সাবেক ১৪৩০ দাগের ৫০ শতক জায়গায় দক্ষিণ মুন্সিপুর প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।

বর্তমানে শিশু থেকে পঞ্চম ছয়টি শ্রেণিতে ২০৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি স্থানীয় বাসিন্দা ঝুমা আক্তার তার লোকজন দখল করে চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছে।
ফলে কোমলমতি শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাঠটি বিদ্যালয়ের দখলে ছিল।
২৬ সেপ্টেম্বর খেলার মাঠটি দখল করে ঝুমা আক্তার তার লোকজন। বর্তমানে মাঠটি উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করি।
এই মাঠ দখলমুক্ত করার জন্য যতটুকু করা যায় সব করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছেনা।
বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে চার দিকে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সোহরাব উদ্দিন বলেন, যে জায়গাটিকে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বলা হচ্ছে, সেটি তাদের পৈতৃক জায়গা।
এটি নিয়ে তারা আদালতে মামলা করেছিলেন।
আদালত মুন্সিপুর মৌজার ৩৭৩ খতিয়ানে, সাবেক ১৪৩০ দাগে ২৮ শতক জমি স্থিতাবস্থা রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন। আদালত অমান্য করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তাদের জায়গা এই জায়গায় যা ইচ্ছে তারা তাই করবেন।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগটি শুনেছি, সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments