রিফাত আহমেদ রাসেল, দুর্গাপুর:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গালমন্দের প্রতিবাদ করায় মা ও প্রতিবন্ধী ছেলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রামদার কোপে মাথায় ১১ টি ও হাতে আরো দুইটি সেলাই নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন মা মনোয়ারা খাতুন (৪২)। আহত মনোয়ারা উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের কেরনখলা গ্রামের বাসিন্দা।
হামলার এই ঘটনায় মনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে আব্দুল হাই সহ ৪ জনকে আসামি করে দূর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই উল্টো অভিযুক্তরা নানাভাবে হুমকি ধামকি সহ ভীতি দেখিয়ে আসছেন। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোয়ারা খাতুন ও আবদুল হাই পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ৫ মাস পূর্বে মনোয়ারা স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আব্দুল হাই পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে দেন-দরবারও অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) বিবাদী গন ভাষায় গালাগালি শুরু করলে প্রতিবাদ করেন মনোয়ারা খাতুন। এই জের ধরে আব্দুল হাই সহ তার পরিবারের সদস্যরা দেশীয় লাঠিসোটা ও রামদা দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। এই সময় ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন দামী আসবাবপত্র ও অলংকার ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে স্থানীয়রা। ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী পরিবার দূর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মনোয়ারা খাতুন জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমিও ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে কোনরকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি। কিন্তু আব্দুল হাই সহ তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ চালিয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে অকাট্য ভাষায় গালাগালি করার প্রতিবাদ করায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ঘরে থাকা নগদ টাকা অলংকার ও দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এঘটনায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর থেকে হামলাকারীরা উল্টো আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
এব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি শিবিরূল ইসলাম অভিযোগ দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা লিপিবদ্ধ করেছে। দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।