“মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার” এই স্লোগানে নেত্রকোনায় করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ১১ টায় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ১ ম ব্যাচের অংশগ্রহণে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
কর্মশালায় ক্যাম্পেইন সমূহ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কিত অর্জন সমূহের বহুল প্রচার বিষয়ক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজি মো আবদুর রহমান। এতে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা সরকার।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদের সঞ্চালনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সফলভাবে মোকাবিলা করার কৌশল এবং তৃতীয় ঢেউ আসার শঙ্কা ও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে কর্মশালায় নানা মতামত তুলে ধরা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানা পরামর্শ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার উত্তম কুমার পাল, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা আক্তার, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সিংহের বাংলা ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সৈয়দা শামছুন্নাহার বিউটি, ব্র্যাকের প্রতিনিধি প্রবাল সাহা, স্বাবলম্বীর লুৎফুর রহমান, নারী প্রগতি সংঘের মৃণাল কান্তি চক্রবতী ও সাংবাদিক আলপনা বেগম প্রমুখ।
আয়োজিত কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিভাগ, পৌর কতৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট, স্থানীয় প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত চব্বিশ ঘন্টায় নেত্রকোনায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৩ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জন পরুষ ও ৯ জন নারী। এ পর্যন্ত ৩১০৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট এসেছে ৩০৮৬৫ জনের। তার মধ্যে জেলায় শনাক্ত পাওয়া গেছে ৪৭২৬ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। গত বছর করোনা আ্রকান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেন ১৫ জন। চলতি বছরে মারা গেছে ১০৮ জন। গত ৫ আগস্ট একদিনে জেলায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ৬ জনের।
নেত্রকোনা সিভিল অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার উত্তম কুমার পাল আরো জানান, এবছরের গত ৩১ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিলো ৪৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা ১৩২ জন। সর্বনিন্ম ১৬ এপ্রিল ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জন শনাক্ত।
তিনি আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন এসেছে এস্ট্রজেনেকার ১ লাখ ২০ হাজার। তারমধ্যে টিকা নিয়েছে মোট ১, ১০, ৮৩১ জন। প্রথম ডোজ ৫৮,১৮৮ ও দ্বিতীয় ডোজ ৫২,৬৪৩ জন। সিনোফার্মার এসেছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০। তারমধ্যে মোট টিকা নিয়েছে ১,৮২,০৩৫ জন। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১,৫৪, ১০১ জন। দ্বিতীয় ডোজ চলমান এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৩৪ জন।