নেত্রকোনা ময়মনসিংহ মহা সড়কের নেত্রকোনার চল্লিশা এলাকায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক ও সুপারভাইজার দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন যাত্রী বাহী শাহ পরাণ বাসের হেল্পারসহ আরও ১০ জন যাত্রী।
সোমবার সকালে নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের নুরুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহ পরাণ বাসের চালক সবুজ মিয়া (৫০) ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকার বাসিন্ধা ও সুপারভাইজার সোহেল মিয়া (৩০) সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে। নেত্রকোনা থেকে চট্টগ্রাম হাটাজারিতে নাইটকোচে চাকরি করতেন।
প্রত্যক্ষদশী, ফায়র সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নেত্রকোনা থেকে অতিরিক্ত ধান বোঝাই একটি ট্রাক ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চল্লিশা পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা শাহ পরাণ নামের যাত্রী বাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। শাহ পরাণ বাসটি চট্টগ্রামের হাটাজারি থেকে আসছিলো। ভোরবেলায় একে তো সড়ক খালি এবং দুটোই দ্রুতগতির ছিলো। গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে মোড়ে এই দুটো গাড়ির মুখোমুখিতে দুটোররই সামনের অংশ একটি অপরটির ভেতরে চলে যায়। এতে আহত হওয়াদের স্থানীয়রা দ্রুত এসে উদ্ধার করে। এসময় বাস চালক সবুজ মিয়া (৫০) ও সুপারভাইজার সোহেল মিয়া (৩০) সহ ১০ জন যাত্রী আহত হন।
তাদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলা হাসপাতালে পাঠালে পরপর দুজনের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও ট্রাকের চালক আটকে থাকায় ময়মনসিংহ থেকে রেকার এনে ট্রাকের অংশ কেটে ভেতরে আটকে থাকা চালককে উদ্ধার করে সড়ক পরিস্কার করা হয়। এতে অন্যান্য গাড়িব যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েন। এদিকে সড়কে তিন ঘন্টা পর চলাচল স্বাবাবিক হয়।
নেত্রকোনা মডেল থানার এস আই জহুরুল ইসলাম বলেন খবর পেয়েই তারা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিকসহ পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
নেত্রকোনা ফায়র সার্ভিসের সহকারী উপ পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, আমরা ১০ জনকে উদ্ধার কের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে একজন মারা যায়। পরববর্তীতে আরও একজন মারা যান। এছাড়াও রেকার না থাকায় কেটে অন্য একজনকে বের করতে দেরী হয়। তবে ঝুঁিকপূর্ন এলাকায় গাড়ী চলাচলে চালকদের আরও সাবধান হতে হবে বলেও জানান তিনি।