প্রবাসী বন্ধুর দেয়া দ্বায়িত্ব পালন করতেই তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জরিয়ে যান সুভাস। পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে বিয়ের চাপ দেয়ায় নিজের স্ত্রী সন্তানের কাছে অপরাধী না সাজতেই হত্যার পরিকল্পা এঁটেছিলেন। এরপর ঘুমের মধ্যে সিঁধ কেটে বন্ধু মালয়েশিয়া প্রবাসী রিপন মিয়ার স্ত্রী শরীফাকে গলায় গরু জবাইয়ের ধারালো ছুরি দিয়ে একটি পোচেই হত্যা নিশ্চিত করে। পুলিশের কাছে এমন তথ্যই দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর শরীফা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামী সুভাস মিয়া (৩৭)।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে অভিযুক্ত সুভাস মিয়া বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনার মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ।
জেলা পুলিশের এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, গত ২১ আগষ্ট সকালে পুলিশ খবর পেয়ে প্রবাসী রিপন মিয়ার স্ত্রী শরীফা আক্তারের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে। সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাংসা গুচ্ছ গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মৃতের বোন হীরামন ওরফে আঙ্গুরা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামী করে মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসীর তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুনের সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নাজমুল হুদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং মৃতের আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
তদন্তে মৃতের স্বামী রিপন মিয়া বিদেশ থাকায় তারই বন্ধু সুভাস মিয়ার দোকানে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পয়সা প্রেরণ করতো। তার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করার সুবাধে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে শরীফা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সুভাস নিজের স্ত্রী সন্তানের কথা ভেবে হত্যার পরিকল্পনা করে হত্যান্ডটি ঘটায়।
পুলিশ ২৩ আগষ্ট দুপুরে কাংসা বাজারস্থ দোকান ঘর থেকে সুভাসকে গ্রেফতার করে। আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার দেখানো মতো নিজ বাড়ীর গোবরের টাল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি আলামত হিসেবে জব্দ করে।