নেত্রকোনার মদনে প্রতিবেশী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃস্বত্তা হয়েছে এক কিশোরী। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর দেওয়ানপাড়া গ্রামের দুই সন্তানের এক জনকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বরা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠে। তবে অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট করলেও ইউপি চেয়ারম্যান এবং থানায় জানায়নি ভুক্তেভোগীর পরিবার অথবা প্রতিবেশী কেইউ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর দেওয়ান পাড়া গ্রামের এক ব্যাক্তি তার প্রতিবেশী কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিন্তু বিষয়টি কেউ জানতেন না। কিন্তু পরবর্তীতে কিশোরীর শারিরীক গঠন দেখে পরিবার ও স্থানীয়রা বুঝতে পারেন অন্তঃসত্তা। তবে কোন ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দুই সন্তানের জনক প্রতবেশী এক ব্যাক্তি দারা কিশোরীটি একাধিক বার ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পরে এ নিয়ে মহল্লায় আলোচনা উঠলে স্থানীয় মাতব্বরা বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন। মীমাংসা করতে শালি বৈঠকও করেছেন বলে শোনা গেছে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আমার কাছেও কেউ বলেনি। ওদের কেউ অভিযোগও দেয়নি। আমিও এভাবেই শুনেছি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি তিনি সাবেক ফতেপুর ইউপির চেয়ারম্যান মসরুম ইয়ার চৌধুরীর বাড়ির কাছের। সাবেক চেয়ারম্যান ওই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ হয়তো মুখ খুলেনা। অভিযুক্তের এখানেই মেয়েটির পরিবার কাজ করে। তাই হয়তো বিষয়টি কাউকে না জানাতে উনারা চাপ দিয়ে থাকতে পারেন।
এদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান মসরুম ইয়ার চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এমন অভিযোগটি শুনে আজ বৃহস্পতিবার বিকালেই দরবার করেছি। কিভাবে জানলো তারা অন্তঃস্বত্তা এটিও একটি বিষয়। সত্যিই অন্তঃসত্ত্বা কিনা বলতে পারছেনা। ওদের কোন অভিযোগও নেই। অন্যরা দেখলাম বলে বেড়াচ্ছে। তারপরও ওরা তলে তলে সবাই রাজি বিয়ে দিতে এবং করতে। এমনকি ওই ছেলের বউ সেও বলেছে ঘটনা ঘটে থাকলে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার জন্য।
মেয়েটির পরিবার অত্যন্ত গরীব। দিন আনে দিন খায়। কিন্তু অভিযোগ দিতে না দেওয়ার কথা যারা বলছেন তারা একেবারে মিথ্যা বলছেন। এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, এই বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগও করেনি এমনকি মৌখিখভাবেও বলেনি। তারপরও আমরা শুনেছি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।