নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে নব্য প্রতিষ্ঠিত এক মাদ্রাসা চত্বরে গর্ত ভরাট ও সড়ক তৈরীর নাম করে দুই ইউপির দুই ভূয়া প্রকল্প নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের ভাগ না পাওয়ায় বাধে দ্বন্দ্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়তলী-বানিহারী ইউনিয়নের কলুংকা গ্রামে সদ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘কলুংকা দারুল উলুম বালক বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ নামের একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি নিজ খরচে পাশের নদী খননের মাটি দিয়ে গর্ত ভরাটের ও পথের কাজ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
পরে টাকার অর্ধেক ভাগের চুক্তিতে ২ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রকল্প অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজপিপি) সাইনবোর্ড লাগান সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোছা. মাকছুদা। অন্যদিকে মাদ্রাসাটির সামনের ছোট রাস্তাটি ঘিরে ৪৫ হাজার টাকার সংস্কার ও রক্ষানাবেক্ষণ প্রকল্প (টিআর) বানিয়ে ফেলেন ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু। টাকা উত্তোলনের পর ভাগ না পেয়ে বিপত্তি বাধান মাদ্রাসা প্রধান। এতে বাঁধে হড্ডগোল। ঘটনা এক কান হতে অন্যকান গড়িয়ে শেষমষে অফিস পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা প্রধান মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আলী জানান, এখানে মাটি কাটা হয়েছে মাদ্রাসার টাকাতেই। নতুন মাদ্রাসাটির উন্নয়নের জন্য ইউপি সদস্যদের কাছে সহায়তা চেয়েছিলাম। তারা পরামর্শ দিলো- এখানে প্রকল্প দিয়ে দেই। এতে যে টাকা পাওয়া যাবে তার অর্ধেক মাদ্রসার জন্য দেওয়া হবে। এতে রাজি হই। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার টিআর প্রকল্প থেকে মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়েছে। অন্য প্রকল্প থেকে কোনো টাকাই দেয়নি। তারা কথা রাখেনি।
সংরক্ষিত ইউপি সদস্য (১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) মোছা. মাকছুদা জানান, একেবারেই যে কাজ করা হয়নি তা নয়। এখানে বেশ কয়েকজন শ্রমিক অনেকদিন কাজ করেছেন। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ তুলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস বিল আটকে দিয়েছে। বিল তুলতে পারিনি তাই মাদ্রাসায় টাকা দিব কি করে।
২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, শ্রমিক দিয়েই কাজ করিয়েছি। বিল পেয়ে ৬ হাজার টাকা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রকিবুল হাসান বলেন, ইজিপিপি প্রকল্পটি শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর কথা। কিন্তু ভেকু দিয়ে কাজ করানোতে বিল দেওয়া হয়নি। শুধু মাত্র টিআর এর কাজের বিল দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কাজ শেষে ইউএনও স্যারকে নিয়ে ওখানে ভিজিটে গিয়েছিলাম। তখন মাদ্রসা প্রধান কোন অভিযোগ করেননি। তাঁদের মধ্যে কি ধরণের চুক্তি ছিল সেটা তো আমাদের জনার কথা নয়। এখন তাঁদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে। আমরা কাজ দেখে বিল দিয়েছি।’