নেত্রকোনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে মতি মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. ওয়াসিম মিয়াকে (৩০) ঢাকার লালবাগ থেকে আটক করেছে র্যাক ১৪ র একটি টিম। মঙ্গলবার ভোর রাতে তাকে আটক করে নেত্রকোনায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান র্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প অধিনায়ক লে. কমান্ডার এস এম শোভন খান। আটককৃতকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, এই মামলার এজাহার নামীয় ৪ নং আসামী মো. লিমন মিয়াকে ইতিপূর্বে র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে সেই সূত্র ধরেই মামলার প্রদান আসামীকে মঙ্গলবার আটক করা হয়েছে। এচাড়াও এজাহার ভুক্ত পলাতক অন্যান্য আসামীদের আটকের জন্য র্যাবের অভিযাান চলমান থাকবে।
মামলা ও সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১০ জুলাই নেত্রকোনা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের সাতপাটি গ্রামের মতি মিয়াকে পথ রোধ করে পিটিয়ে হত্যা করে চাচাতো ভাইরা। দীর্ঘদিন ধরে কেনা জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো তাদের সাথে। মতি মিয়া দেশের বাইরে থাকাকালীন সময়ে একটি জমি ক্রয় করেছিলেন।
সেই জমিতে দখলের জন্য চাচাতো ভাই ওয়াসিমরা এর আগেও একবার মতি মিয়াকে মারধর করে। বিভিন্ন সময়ে এমন অত্যাচার নির্যাতনের এক পর্যায়ে বাড়ির অদূরেই তাকে পথ রোধ করে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন ১১ জুলাই মতি মিয়ার স্ত্রী সুমী আক্তার বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি লিমন মিয়াকে আটক করে। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলার প্রধান আসামী ওয়াসিমকে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আটক করে। ওয়াসিম সাতপাটি ওসমান ফকিরের ছেলে এবং মতি মিয়ার আপন চাচাতো ভাই।