চলছে আমন আবাদের ভরা মৌসুম। সময় যাচ্ছে জমিতে সার দেয়ার। আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহ পরেই দেয়া যাবে না সার। এদিকে জেলার সর্বত্র দেখা দিয়েছে সঙ্কট। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে ছুটছে। প্রতি বস্তায় এক একজন কৃষক ২ শ থেকে আড়াইশ টাকা বেশি দরে কিনছে সার। জেলা প্রশাসক জানিয়েছিলেন কোথাও সার রেখে সঙ্কট দেখিয়ে বেশি দরে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলাররা মাত্র পাচ্ছেন ২০ বস্তা করে। যে কারনে চাহিদা মিটাতে পারছেন না তারা। ঠিক এমন এক মুহুর্তে খবর পাওয়া গেলো জেলার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মামুন এন্টারপ্রাইজ নামের বিসিআিইসির এক ইউনিয়ন ডিলারের গুদাম ভরা সারে। মজুদ রেখেই সাব ডিলারদের কাছে সার দিচ্ছেন না প্রায় মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এ নিয়ে গত সময়ে মনসুরুল হক রিমান নামের এক সাব ডিলার লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তেলিগাতী বাজারের রিমান সহ বেশ কজন সাব ডিলার জানান, গত ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের ইউনিয়নে মামুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো. সালেক মিয়ার আন্ডারে ৫ জন খুচরা সাবডিলার এবং বিক্রেতাকে সার দেয়ার কথা। কিন্তু গুদাম ভর্তি রেখে নিজেই বাড়তি দামে খুচরা বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলা কৃষি বিভাগ ও ইএনওকে জানানো হয়েছে। তারা সন্ধ্যায় পরিদর্শন করে সাড়ে ৬শ বস্তা মজুদ পেয়েছে। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে। কিন্তু কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। আমাদেরকে বৃহস্পতিবার উপজেলা অফিসে ডেকেছেন সার দেয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে পরিদর্শনকারী আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা জানান, তারা এসে মজুদ পেয়েছেন। কিন্তু কত বস্তা তা তিনি বলতে পারছেন না বলে জেনে নিতে বলেন।
আটপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ ডিলারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, সাড়ে ৬শ বস্তা পাওয়া গেছে। সবার মাঝে বিলিয়ে দেবো আমাদের সামনেই। এতোগুলো বস্তা একজনের কাছে কিভাবে এলো এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিভিন্ন সিজনে মজুদ করা হয়েছিলো। বাড়তে বাড়তে বেশি হয়ে গেছে। সড়কে কাঁদার জন্য বের করতে পারছেনা। তবে একজন ডিলারের কাছে এতো বস্তা রেখে অন্যদের না দিয়ে আটকে রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা শোকজ করবো।