নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিবেশীর ঘর থেকে শুক্লা সাহা (৪৮) নামে এক নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্বে উপজেলার ঝানজাইল নদীর পাড়ে একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।নি হত ওই নারী একই এলাকার সুকুমার চন্দ্র সাহার স্ত্রী ।
এদিকে প্রতিবেশী রুবিনা আক্তার নামের যে নারীর ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বাড়ির পাশেই কংস নদীতে গোসল করতে যান শুক্লা সাহা। দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
নদীর পাড় সহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘক্ষন খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পাওয়ায় নদীতে মাছ ধরার জাল ফেলেও চলে তার খোঁজ।
কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়ে পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ শুরু করেন ।
একপর্যায়ে প্রতিবেশী রুবিনা আক্তারের কথা সন্দেহজনক হওয়ায় বাজারের লোকজনদেরকে জানালে তারাসহ তার ঘরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে।
একপর্যায়ে রুবিনার বিছানার পাশে পাটের বস্তা মোড়ানো একটি বস্তা দেখতে পান স্থানীয়রা।
বস্তা খুলতেই হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় বেরিয়ে আসে শুক্লা সাহা মরদেহ । পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে ।
এব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ এ নুর আলম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের স্বামী সুকুমার ওই প্রতিবেশী রুবিনাকে ডাকলে তিনি ঘর না ছাড়ায় সন্দেহ হয়। পরে বাজারের লোকজনদেরকে জানালে তারা গিয়ে ঘরে তল্লাশি করে একটি বস্তায় চাপ দিতেই নরম দেখে আমাদেরকে জানায়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।
তবে এর কারণ সঠিক জানা যায়নি। কিন্তু নিহত ওই নারী গায়ে বেশ স্বর্ণালংকার ছিলো। এক আধ ভরি হবে হয়তো। তবে কোন শত্রুতা ছিলো না বলেও পরিবারের বরাত দিয়ে জানান ওসি। ধারণা করা হচ্ছে স্বর্ণালংকারের জন্য করে থাকতে পারে। তবে আটক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি এই ঘটনা একাই ঘটিয়েছেন নাকি সাথে আরো কেউ ছিলো তা বের করা হবে।