নেত্রকোনার বারহাট্টায় মাদক সম্রাজ্ঞী ললিতাকে স্বামী ও সহযোগীদেরসহ ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা নগদ টাকা নিয়ে হাতেনাতে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুর্বের মাদক সংক্রান্তই আরও ১৭ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ওসি এটি এম মাহমুদুল হক।
ওসি জানান আটক ললিতা এলাকায় মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজ ঘরে মাদকের ব্যবসা করেন। তারা স্বামী স্ত্রী মিলে এই মাদকের ব্যবসা করে আসছেন। এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের কাছে মাদক সরবরাহ করে থাকেন। গোপন সংবাদের খবরে এদেরকে আটকের পর সোমবার সকালে নেত্রকোনা ডিবির কার্যালয়ে হাজির করা হলে মাদক আইনে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
আটকরা হলেন, বারহাট্টা উপজেলার পশ্চিম গোপালপুর গ্রামের ললিতা (৩৭), তার স্বামী ও গোপালপুর গ্রামের মৃত শামছুল হক তালুকদারের ছেলে সেলিম তালুকদার (৪৫), সহযোগী মো. আলামিন (৩৬) ও আব্দুল জলিল (৩৮)। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩০ পিস ইয়াবা, ১০ গ্রাম হেরোইন, ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ ১৯,৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকরা সকলেই বারহাট্টার উপজেলার।
ডিবির পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের খবর পয়ে ললিতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে মাদক কেনা বেচা ও সেবনের সময় হাতে নাতে ধরতে সক্ষম হই। তিনি বারহাট্টার গোপলপুর গ্রামের সেলিম তালুকদারের স্ত্রী। সেলিম ললিতার দ্বিতীয় স্বামী বলেও নিশ্চিত করেছে ডিবির সেকেন্ড অফিসার ফরিদ আহমেদ। তিনি আরো জানান, শুধুমাত্র ললিতার নামেই ১২ টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার স্বামীর নামে আরও ৫ টি মামলা রয়েছে। মোট ১৭ টি মামলা নিয়েও তিনি এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত। তার বারহাট্টা গোপালপুর গ্রামের বাসায় কেচি গেইট লাগানো থাকে সব সময়। পুলিশ অভিযান চালালে উল্টো নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে খারাপ আচরণ করে। এলাকার মানুষও তাকে ভয় পায়।
পুলিশের আরো একটি সূত্র জানায়, গত সময়ে মাদক সেবী নিমূল অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে বিভিন্ন মাদক সেবী মারা যাওয়ারকালে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় তারও নাম ছিলো। কিন্তু তখন এই ললিতা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিলো।