নেত্রকোনায় পুলিশের যৌথ অভিযানে শহরে প্রবেশকারী মাইক্রোবাস তল্লাশি করে ১৫ লক্ষ টাকা মুল্যের ৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে শহরের পারলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার হোসেনপুর থেকে মাইক্রোবাসটি জব্দ করে পুলিশ। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মো. ফযেজ আহমেদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ, ওসি ডিবি (পশ্চিম) আবুল কালাম আজাদসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ জানান, মাদক পাচার সংক্রান্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ ও নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয় পৌরসভার পারলা অন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে।
পুলিশের এএসপি (অপরাধ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের তত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা কালে ময়মনসিংহ থেকে আগত যানবাহনে বিশেষ তল্লাশি শুরু করা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে ডিবির ওসি (পশ্চিম) আবুল কালামের নেতৃত্বে নোহা (পিরোজপুর-চ-১১-০০০১) মাইক্রোবাসটিকে সিগন্যাল দিলে চালক বেপরোয়া গতিতে হাতের বামদিকে কাঁদাযুক্ত গলি দিয়ে হোসেনপুর কার ওয়াশে ঢুকে পড়ে।
এসময় ডিবি পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করলে গাড়ি ফেলে রেখে চালকসহ অজ্ঞাত তিনজন দিকবেদিক পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি তল্লাশি করে ডানপাশের হেলপারের সীটের নীচে বিশেষ কায়দায় পলিথিনে মোড়ানো ৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যেগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা।
গাড়ির ভেতরে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া গেছে। যেটির মালিক হচ্ছেন চট্টগ্রামের লোহাগড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে মো. আনিছ। আমরা এটি ভালো করে তদন্ত করে দেখবো গাড়িটির মালিক তিনি আছেন নাকি বিক্রি করে দিয়েছেন।
এর সাথে কে কে জড়িত। সবগুলো বের করা হবে। যারা গাড়ি রেখে পালিয়েছে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।