নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত কুল্লাগড়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সুব্রত সাংমা মারা গেছেন। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে খবর এলাকায় পৌঁছতেই নিজ উপজেলা দুর্গাপুরের গারো ছাত্র সংগঠন সড়কে বিক্ষোভ করেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সহ গারো ছাত্র সংগঠন বাগাছাস দুর্গাপুর শ্যামগঞ্জ সড়কের উৎরাইল বাজারে টায়ার জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ কমৃসূচী পালণ করে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্গাপুর পৌর শহরের শিবগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি আহত হন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক বাবু সহ মোট চারজন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুব্রত সাংমা ও ওমর ফারুক বাবুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপরপরই এলাকার চিহ্নিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী শুটার শামীম ওরফে শামীম মিয়া, বদরুজ্জামান বদি ও কুল্লাগড়া ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু।
শুটার শামীম ও বদি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের ভাই। এদিকে সুব্রত সাংমার মৃত্যু সংবাদেউপজেলা আওয়ামীলীগও একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ।
এদিকে খবর পেয়ে নেত্রকোনা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল দুর্গাপুরে উপস্থিত হন। তিনি জানান, আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
নিহত সুব্রত সাংমা আওয়ামীলীগের হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া আসনের প্রয়াত এমপি প্রমোদ মানকিনের ভাতিজা। তিনি গত ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান র্নিাচিত হন।
এরপর ২০২১ সালেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে কুল্লাগড়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।