শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রাক প্রস্তৃতি দেখতে নেত্রকোনায় ঐতিহ্যবাহী কলিমন্দির পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিষ্টার হারুন অর রশিদ, বিপিএম। এছাড়াও তিনি জেলার রামকৃষ্ণ আশ্রমের মন্দির পরিদর্শন করেছেন।
আজ রবিবার বিকালে এসকল পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এই র্দর্গাপূজা। এটি যেনো নিবিঘœ হয় সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে পূঁজা উদযাপনে পুলিশের দিক থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি দেখতেই মন্দিরগুলো পরিদর্শন করা। এসময় তিনি মন্দিরের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। দুটি মন্দিরে সিসি টিভি ক্যামেরা জোরদার করনসহ মন্দিরের ভলান্টিয়ার পর্যাপ্ত বাড়ানো নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এচাড়াও দেশকে দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলেকে পূঁজা উদযাপনের আহ্বান জানান।
রবিবার (১০অক্টোবর) নেত্রকোনা সদরের মডেল থানার বার্ষিক পরিদর্শন শেষে বিকালে জেলা শহরের সাতপাই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কালিমন্দির ও রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিদর্শন করেছেন ডিআইজি।
এসময় জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আল আমিন, সদর সার্কেল মোরশেদা খাতুন, মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সালাহউদ্দিন কাজলসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ডপ পরিদর্শনে এসে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে মন্দিরের কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে ডিআইজি ও পুলিশ সুপার নানা দিক নির্দেশনা দেন। সাদা পোশাকে পুলিশের টহলের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে বলেও জানান তারা।
নেত্রকোনা জেলা পূজা উদযাপন পর্ষদের যুগ্ম সম্পাদক লিটন পন্ডিত জানান, জেলার ১০ উপজেলায় এ বছর ৫১৬ টি পূঁজা মন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেত্রকোনা পৌরসভায় ৫৬ টি, নেত্রকোনা সদর উপজেলায় ৫৩ টি, বারহাট্টা উপজেলায় ৫২ টি, কেন্দুয়া উপজেলায় ৪৭ টি, আটপাড়া উপজেলায় ৪০টি, পুর্বধলা উপজেলায় ৬০টি, কলমাকান্দা উপজেলায় ৬০টি, দুর্গাপুর উপজেলায় ৫৮টি, মোহনগঞ্জ উপজেলায় ৩৭ টি, মদন উপজেলায় ১৩টি ও খালিয়াজুরী উপজেলায় ৪২ টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে।