হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার শিমুল মিয়া (১০) নামের ৫ম শ্রেণীর এক এতিম শিশু কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে, খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে। পিতৃহীন সন্তানের জীবন বাঁচাতে দরিদ্র মায়ের করুণ আকুতি জানিয়েছেন।শিশুটির বাড়ি কেন্দুয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের স্বল্প টেঙ্গুরী মহল্লার মৃত আব্দুল হেলিম মিয়ার ছেলে।
শিশুটির মা মাজেদা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, সহায় সম্ভলহীন তার স্বামী আব্দুল হেলিম ২০১৭ সনে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তিনি ২ মেয়ে ও ২ ছেলে নিয়ে ভিষণ অভাবে পরেন। এরপর তিনি কিশোরী বড় ২ মেয়েকে নিয়ে মানুষের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান। এরই মধ্যে ২০১৮ সনে বড় ছেলে শিমুলের শরীর ফুলে যাওয়াসহ নানান অসুখ দেখা দেয়। উপজেলা হাসপাতাল হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান- শিমুলের ২ কিডনীতেই সমস্যা।
পরে ঢাকার শেরে বাংলা নগর কিডনী হাসপাতাল নিয়ে যান তিনি। সেখানে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানান, ছেলের ২টি কিডনীই ছিদ্র হয়ে নষ্ট হওয়ার পথে। পরে গ্রামবাসীর সাহায্য নিয়ে ২ মাস হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ী নিয়ে আসেন। অর্থের অভাবে ২ বছর ধরে চিকিৎসাবন্ধ রয়েছে। তাই তিনি ছেলের জীবন বাঁচাতে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন। চোখ মুছে ছোট্ট শিশু শিমুল বলে,আমি বাঁচতে চাই, স্কুলে যেতে চাই, আমি বড় হতে চাই, আমাকে বাঁচান।
একই গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম সেলিম বলেন, শিশুটি খুবই কষ্টে আছে। যখন শরীর ফুলে যায় তখন আর চেনার উপায় থাকে না। খুবই কষ্ট হয়। আমরা গ্রামবাসী সাহায্য করেছি। কিন্তু এই ব্যায় বহুল চিকিৎসা তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়।
ডাক্তার বলেছেন, এ রোগটি “নেফ্লাইটিস সিমডম” অর্থাৎ কিডনী ফেইলর। ব্যায় বহুল দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা দরকার। শিশুটির জন্যে তিনি ও সরকারের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।