পদ্মা সেতু আমাদের আত্মর্যাদার প্রতীক এই পদ্মা সেতু। আমাদের সততার প্রতীক। আমাদের নেতৃত্বের প্রতীক এই সেতু। প্রধানমন্ত্রী সেই নেতৃত্ব বহন করে চলেছেন। এটি আমাদের অহংকার। অনেক ষড়যন্ত্রের পর এই সেতু আজ দাঁড়িয়েছে। এটি শুধুমাত্র দক্ষিণ পশ্চিমাংশের মানুষের উপকার হবে না। এটি সারা দেশের অর্থনীতিকে বদলে দেবে বললেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। শনিবার মোক্তারপাড়া ঐতিহাসিক মাঠে কাঠের তৈরী পদ্মা সেতুর পাড়ের মঞ্চে বাঙালি জাতির আরেকটি অনন্য বিজয় স্মারক পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি চমৎকার কাঠের রেপ্লিকা তৈরীর জন্য সড়ক বিভাগকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি পৌর মেয়র, জেলা পরিষদসহ অনুষ্ঠানে আগত হাজারো সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আজকের উদ্যোগ আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ। আমরা এক থাকলে কেউ হারাতে পারবে না আমাদেকে। বাঙ্গালি হারার জাতি না। বাঙালি মাথা উঁচু করে বাঁচবার জাতি। পদ্মা সেতুই তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত নেত্রকোনায় পদ্মা সেতুর পাড়ের মঞ্চে হয়ে গেল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে এটি ছিলো কাঠের তৈরী সেতু। সত্যিকারের সেতুর আদলেই গড়ে তোলা হয় সেতুটি। পাশাপাশি মঞ্চে বেজে উঠে বিখ্যাত শিল্পীর পদ্মা নিয়ে গান ‘পদ্মার ঢেউরে’। সেইসাথে নেত্রকোনার সামবেশ মঞ্চে ছুঁেয়ে যায় সকলের মন।
শনিবার সকাল ১০ টা থেকে জেলার ঐতিহাসিক মোক্তাপাড়া মাঠের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষজন এসে মিলনমেলায় পরিণত হয়। সমাগম হয় হাজারো মানুষের। অনুষ্ঠানে মুুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজসহ রাজনৈতিক সামজিক সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধনের পর নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বেলুন উড়িয়ে উদ্বেধনী শেষে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিয়র রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদ প্রশাসক প্রশান্ত কুমার রায় ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নুরল আমিন।
এদিকে অনুষ্ঠান দেখতে আসা মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শ্রেনি পেশার মানুষ জানান, এটি দেখে গর্বিত হয়ে চোখে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। তারা সবাই নেত্রকোনায় এমন সেতু বানানো দেখেও অনেক খুশি। তবে নেত্রকোনার মগড়া নদীটি অপরিকল্পিত সেতুর জন্য নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা দাবী করেন এমন ভাবে পদ্মা সেতুর মতো যেনো পরিকল্পনা নিয়ে আগামীতে সবখানে কাজ করা হয়।