নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের ভূমি অধিগ্রহণের অযুহাতে বছরজুরে থেমে থাকা কাজ সচল করলেন নবাগত ডিসি। সেইসাথে জরিপ ছাড়াই ৫৯ দশমিক ৩৩৫০ একর ভূমি অধিগ্রহনের জন্য বরাদ্দকৃত ১০২ কোটি টাকার মধ্যে সরকারের সাশ্রয় করলেন ৫৬ কোটি টাকাই। যা জমা হবে সরকারের কোষাগারে।
জানা গেছে, নেত্রকোনা কলমাকান্দা সড়ক প্রশস্তকরণও ১১ টি সেতুসহ জমি অধিগ্রহণ বাবদ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ৩২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে কেবল জমি অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয় ১০২, ৪৮, ৯৫, ৩৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু এই ২৪ কিলোমিটার সড়কে ১১ টি সেতু নির্মানের পর এ্যাপোচ সড়ক নির্মাণ এবং প্রশস্তকরণের কাজ থেমে থাকে জমি অধিগ্রহণের অযুহাতে।
এদিকে জমি অধিগ্রহণের জন্য কি পরিমান জমি লাগবে তা জরিপ না করেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ভূমির জন্য ওই টাকাটা বরাদ্দ হয়। কিন্তু জমি জরিপ না হওয়ায় সড়কের কাজ প্রায় বছর দুয়েক যাবৎ বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে নবাগত জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নজরে আসলে তিনি নেত্রকোনা কলমাকান্দা সড়কের জমি জরিপের কাজ শুরু করেন।
১০ জন সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করে সরকারের বরাদ্দকৃত ১০২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৪৫ টাকার মধ্যে বর্তমান বাজার মূল্যে জমির মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৮ টাকা। সরকারের অর্থ বেঁেচ গেলো ৫৬ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২৭ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ রাজস্ব শাখা এবং সড়ক বিভাগকে বাকী কাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি সরকারের বেঁচে যাওয়া অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, মানুষের ভোগান্তি যেভাবে কমবে সেভাবে কষ্ট হলেও দিনরাত এক করে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি ভূমির ন্যায্যমূল্য দিয়ে পরিছন্ন ভাবে ভূমি ক্রয় করতে হবে। সে লক্ষ্যেই নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের জমি অধিগ্রহণে নতুন করে জরিপের কাজ শুরু করা হয়। নেত্রকোনা কেন্দুয়া সড়কেও জরিপ চলছে বলে জানান তিনি।