মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া
নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার যেন মুত্র ত্যাগের স্থানে পরিণত হয়েছে। শহিদ মিনারের মুল ফটকের সামনে পথচারী, অটোরিকশা, সিএনজি চালক থেকে শুরু করে যাত্রীরা সকলেই শহিদ মিনারের দেয়ালে মুত্র ত্যাগ করে শহিদ মিনারটিকে করছে অসম্মান।
শুধু ২১শে ফেব্রুয়ারীর আগে কিছুটা পরিষ্কার করে ভাষাশহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে সম্মান জানিয়ে চলে যাবার পর সারাবছর অযত্ন অবহেলা পড়ে থাকে শহিদ মিনারটি। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার প্রশাসনের কারোই নজরে পড়েনা শহিদ মিনার।
অথচ কেন্দুয়া প্রবেশ করতেই সামনে পড়বে শহীদ মিনারটি। পৌরসভা এবং উপজেলা দুই দিকের প্রশাসনের কারোই নজরে না নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দুয়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনের এই দৃশ্য দেখে স্থানীয় অনেকে বলেন, বাংলা ভাষা এখন আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও নিজেরাই এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে অবমাননা করছি। যা ভাষার মাসেও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে শহিদ মিনার।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী জয়হরি স্পাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন পুনসংস্কার করা শহীদ মিনারের সামনের সড়কে থাকে সিএনজি অটোরিকশা। আর এগুলো চালক এবং আশপাশের মানুষ প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে গিয়ে শহীদ মিনারের ফটক এবং দেয়ালকে মুত্রত্যাগের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। যা দেখে স্থানীয় অনেকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
স্থানীয়সহ সিএনজি অটোরিকশা চালকদেরও দাবী প্রশাসন উদ্যোগ নিলে অভ্যস্থ হওয়া সাধারণ মানুষ এমন কাজ আর এখানে করবে না। এদিকে গাড়ি চালক অনেকেই ভাষার মাসের এবং দিবসের গুরত্ব সর্ম্পকে না জানলেও বেশির ভাগ চালক জানে এবং মানার চেষ্টা করে বলেও তাদের অভিমত।
সিএনজি চালক কামরুজ্জামান বলেন, সালাম রফিক বরকত আমাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাদের স্মরণে এই শহীদ মিনারের সামনে এবং দেয়ালে মুত্র ত্যাগ খুবই লজ্জার। তবে তিনি দাবী করেন শহীদ মিনারের সামনে সড়কে অনেক আগে থেকেই সিএনজি এবং অটোরিকশা স্ট্যান্ড রয়েছে যে কারণে তাদের এখানে আসতে হয় এবং অনেকে শহিদ মিনারের দেয়ালে জেনে না জেনে মুত্র ত্যাগ করে থাকে।
তরুণ প্রজন্মের মেহেদী হাসান বলেন, শহীদ মিনানের দেয়ালটিতে মুত্র ত্যাগ করে যাচ্ছে এখানকার লোকজন অবলীলায়। সাধারণ মানুষের তো এসব নিয়ে ভাবনা নেই। কিন্তু প্রশাসন নজরদারী করলে মুত্র ত্যাগ তো দূরের কথা মানুষ থুতু ফেলতে সাহস করবে না।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত রাজিব হোসেন, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বলেন, আগামী ১৪ তারিখ আমাদের মিটিং রয়েছে, এই দিন শহিদ মিনারের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং যা যা করনীয় তা করা হবে।