হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সুমন সরকার নামে এক মৎস্য চাষীর পুকুরে এক রাতে তিন লাখ টাকার শিং মাছ মরে বেশে উঠল। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে হাউ-মাউ করে কাঁদছেন ফিশারীর মালিক উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের বালিজুড়া তরফপাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সুমন সরকার।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দুয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্তকর্তা সাজ্জাত হোসেন। তিনি জানান, জানতে পারলাম ২ ফুট গভীরের ৪০ শতাংশ পুকুরে ৬ কেজি রেণুপোনা ২ মাস আগে ছাড়া হয়।
পুকুরের গভীরতার তুলনায় মাছ বেশি হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে পুকুরের মালিকের দাবী, কেউ পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছেন। সে ক্ষেত্রে তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে ফিশারীর মালিক সুমন সরকার জানান, ২ লাখ টাকা এনজিও হতে ঋণ এনে শিং মাছের চাষ করে ছিলাম। এই ক্ষতিতে আমি শেষ হয়ে গেছি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমাদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত ঝগড়া ও মামলা করেছেন আমাদের প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ মজিফুর রহমান ভূইয়া নামে এক শিক্ষক। থানায় মামলা করার কারনে আমি বাড়ি ছাড়া এর পরের দিনই
পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠে। এছাড়া পুকুর পাড়ে থাকা ৫২টি কলাগাছও কেটে ফেলা হয়। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস শুত্রুতা করে বিষ প্রয়োগে আমার পুকুরের মাছ মেরে ৩ লাখ টাকা ক্ষতি করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে তানভীর হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোর বেলায় আমরা গিয়ে দেখি সুমন সরকারের পুকুরের শিং মাছ মরে ভেসে আছে এবং অনেক গুলো কলাগাছ পুকুর পাড়ে কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। জানতে পারলাম প্রতিবেশি মফিজুর রহমানের সাথে সুমন সরকারের মামলা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেশি প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, গত শুক্রবার হইতে আমি বাড়িতে নেই। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।