হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ৪৮ বছর বয়সি শাহানা আক্তার বাঁচতে চান। এতিম দুই সন্তানের মধ্যে এক মেয়ে (১২) এবং এক ছেলে (৯) সন্তানের জননী। শাহানা আক্তারের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের টেঙ্গুরী ছয়ানী গ্রামের মৃত দিন মজুর আব্দুর রহিমের স্ত্রী।
গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে শাহানা আক্তার কোন কাজ করতে পারছেন না। ভয়াবহ এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা খরচ মিলাতে পারছেন না। যে কারণে তিনি বাঁচার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের বিত্তবান লোকদের সহযোগিতা চান।
শাহানা আক্তার জানান, প্রায় আট বছর আগে দুই সন্তান রেখে আমার স্বামী মারা যান। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে দুই সন্তান নিয়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করছি। আয় রোজগার করার মত কেউ নেই। তার উপর আবার আমার শরীরে কঠিন রোগের বাসা। প্রায় আট-নয় মাস আগে খাবার খেলে গলায় একটু ব্যাথা লাগত, তাই কেন্দুয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসক আমাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে ময়মনসিংহ হাসপাতালের চিকিৎস অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর, তারা সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য গলার দুই দিকের দুই অংশ থেকে মাংস নিয়ে ঢাকা মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে পাঠান।
মহাখালী হাসপাতালের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানতে পারেন গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে তিনি।
শাহানা আক্তার অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি কাজ করতে পারছেন না।
পরে এলাকার স্থানীয় লোকজনদের সাহায্য-সহযোগিতায় কোনভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করছেন।
তিনি আরো জানান, মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালের সহকারী প্রফেসর মোঃ তরিকুল ইসলাম প্রায় দুই মাস আগে বলেছিলেন খুব দ্রুত কমপক্ষে ৫ টি কেমো থ্যারাপী নেওয়ার জন্য। যার একটি নিতে ব্যায় হবে প্রায় বিশ হাজার টাকা। কিন্তু দুইম মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকার অভাবে থ্যারাপী নেওয়া সম্ভব হয়নি শাহানার।
এ বিষয়ে স্থানীয় রুকন উদ্দিন জানান, শাহানা আক্তারের স্বামী অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। প্রায় আট বছর আগে তার স্বামী মারা গিয়েছেন। নিজের সহায় সম্বল বলতে একখণ্ড ঘরের জায়গা ছাড়া কিছুই রেখে যেতে পারেননি। এখন এতিম দুই সন্তানের জননী কঠিন রোগে আক্রান্ত। সরকার এবং সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগীতা কামনা করছেন শাহানা আক্তার সহ স্থানীয় লোকজন ।