হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
ধানের পোকা-মাকড় চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার জনপ্রিয় পদ্ধতির নাম হচ্ছে আলোক ফাঁদ। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কৃষকরা এই কৃষিবান্ধব পদ্ধতির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
কেন্দুয়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ১৩ ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্লকে সন্ধ্যায় রোপা-আমন ধান ক্ষেতে ফসলের পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় এই আলোক ফাঁদ বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপা- আমন ধানের ক্ষেতের আইলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় পানিভর্তি পাত্রের ওপর আলো জ্বালিয়ে ধানের বিভিন্ন পোকা দমন ও চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর ফলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা নিজেই জমিতে কোন পোকাগুলোর উপস্থিতি তা পর্যবেক্ষণ করতে পারছে।
এতে করে কৃষক ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণের আগেই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণের আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ এ.কে.এম. শাহজাহান কবির জানান, সম্প্রতি ধানের ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি চিহ্নিত করতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এবং একযোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্লকে আলোক ফাঁদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি একটি সহজলভ্য পদ্ধতি। কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই ধানের পোকা-মাকড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছেন।