হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রাস্তায় পানিতে কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। অনেক এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধ হয়ে আছে। এসব পানিতে চলাফেরায় করায় অনেকে চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানি ধীরে নামার কারণেই তাদের বেশি ভোগান্তি হচ্ছে। রাস্তায় কাদামাটি জমে থাকায় তারা চলাফেরা করতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে রাস্তা সম্পুর্ণ শুকাতে অনেক সময় লাগবে। যে কারণে পানি চলে গেলেও মানুষের দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন পানি বন্দি থাকা উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের গোলাপ মিয়া বলেন, কেবল মাত্র বাড়ি থেকে পানি কিছুটা নেমেছে। অনন্ত এক সপ্তাহ লাগবে বাড়িতে ফিরতে। আগে ঘর সংস্কার করতে হবে, তারপর বাড়িতে উঠতে হবে। বাড়ি-ঘরে উঠে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হলে, আগে ঘর মেরামত করতে হবে, কিছু আসবাবপত্র ক্রয় করতে হবে, এখন এই সব কিছু করতে টাকার প্রয়োজন।হাতে কোন টাকা নেই। এ কথা শুধু গোলাপ মিয়ার একার কথা নয়। এমন কথা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো পরিবারের।
কান্দিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর আলম বাবুল বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মানুষে ভোগান্তি রয়েই গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নিয়েই মানুষ এখন সমস্যায় আছেন। অনেকেই আসছেন সহযোগিতার জন্য। তাছাড়া এখনো বন্যার্তদের মধ্যে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের বাড়ি থেকে পানি নেমে গিয়েছে তাদের এখন অন্য সহায়তা দরকার।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মোছাঃ মাহমুদা বেগম বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বলেন, বন্যার পানি কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। এর মধ্যে যাদের বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসব পরিবারে তালিকা তৈয়ার করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সরকারি সহযোগিতা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।