নেত্রকোনা জেলা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নে চুচুয়া মারাদিঘী গ্রামে গোয়াল ঘরে আশ্রিত ১০৯ বছরের বৃদ্ধ জয়বানুকে ঘরের জন্য নগদ টাকাসহ টিন দিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ। এসময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘরের জন্য জেলা প্রশাসনের দেয়া নগদ টাকা ও টিন পেয়ে গৃহহীন ১০৯ বছরের বৃদ্ধা জয়বানুর চোখে মুখে যেন হাসির ঝিলিক ফুটে ওঠে। খুশি হয় স্বজনসহ এলাকাবাসীও।
তারা জানান, জয়বানুর আর থাকতে হবে না গোয়াল ঘরে গরুর সাথে। বৃদ্ধা জয়বানুর কষ্ট দেখে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে ডেকে নেন বৃদ্ধাকে। এসময় বৃদ্ধার সাথে কথা বলে রিক্সভাড়া নগদ এক হাজার টাকা দিয়ে ঘরের জন্য একটি আবেদন করতে বলেন। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারকে নির্দেশ দিলে ঘরের জন্য ব্যবস্থা করলেও বৃদ্ধা একা থাকতে পারবেননা জানালে পরবর্তীতে মেয়ের বাড়িরতে ঘর করার জন্য টিন এবং টাকার ব্যবস্থা করে দেন।
এরপর রবিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলাধীন মৌগাতি ইউনিয়নের চুচুয়া মারাদিঘী গ্রামে গিয়ে ঘরের জন্য টিন দিয়ে আসেন জেলা প্রশাসন। এসময় জেলা প্রশাসক নিজে উপস্থিত হয়ে নগদ টাকা সহ টিন তুলে দেন জয়বানুর হাতে। আর এমন একজনকে ঘরের সুযোগ করে দেয়ায় এলাকাবাসীর প্রশংসা নিয়ে ফেরেন প্রশাসনও। ধন্যবাদ জানান জয়বানুও।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ভূমিহীনদের ২২৩২ টি এবং মদন উপজেলা গুচ্ছগ্রামে ৬০ টিসহ ২২৯২ টি ঘর প্রদান করে। গত ২১ জুলাই তৃতীয় ধাপের আরও ১৭৪ টি ঘর প্রদান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক জানান, সরকার ভূমিহীনদের জন্য ঘর দিচ্ছেন। আমরা তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছি। তাদরে মধ্যে এমন একজন জয়বানু। আর এই জয়বানুকে সাংবাদিক আলপনার মাধ্যমে পেয়েছি। তিনি ছোট মেয়ের বাড়িতে একটি গোয়াল ঘরে থাকতেন। একপাশে গরু অন্যপাশে তিনি। এমন খবরটি সত্যিই খুব দুঃখের। সারাদিন ভিক্ষা করে আবার কষ্ট করে ঘুমানো একটা বড় কষ্ট। তিনি বলেন একজন মানুষ এখন মানুষের মতোই থাকবেন।
তিনি গরুর গোয়ালে থাকতেন যা শুনে আমি নিজেই খুব কষ্ট পেয়েছি।