কর্তৃপক্ষের অবেহেলার কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিঁড়িতেই সন্তান জন্ম দিলেন আল্পনা (২৭) নামের এক মা।
আল্পনা খালিয়াজুরী উপজেলার সাঁতগাও গ্রামের মানিক মিয়া স্ত্রী।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফুল আলম তালুকদার, নার্স রিনা পাল ও শিল্পী রাণী করকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য শোকজ করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) নূর মোহাম্মদ সামছুল আলম।
রোগীর স্বজনরা জানায়, বুধবার দুপুরে রোগীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
পরে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে দু-তলায় লেবার ওয়ার্ডে পাঠান।
লেবার ওয়ার্ডে গেলে কোন রকম চিকিৎসা না দিয়েই জটিল অবস্থা বলে ময়মনসিংহ রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে ওই নারী দু-তলায় থেকে নামার পথে সিড়িতেই স্বাভাবিকভাবে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
বিষয়টি প্রচার হলে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে সাংবাদিকরা জানার আগেই কৌশলে ডেলিভারি প্রসূতি মাকে তড়িঘড়ি করে আবার বিদায়ও দিয়ে দেয় দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা।
এ ব্যাপারে টিএইচও নূর মোহাম্মদ সামছুল আলম বলেন, ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। বাড়িতে প্রথমে ধাত্রী দিয়ে সন্তান প্রসবের চেষ্টা করার পর হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রসবের পর আমরা রোগীকে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দিয়েছি।
উল্লেখ্য মোহনগঞ্জ হাসপাতালে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আর এদিনই অন্য এক রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে খারাপ আচরণের কারণে ডাক্তার নার্সদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে হট্টগোল করেন রোগীর স্বজনরা।
পরে এ ঘটনায় উল্টো দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ডাক্তাররা।
এছাড়াও সামন্য কারনেও এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশির ভাগ আসা রোগীকেই রেফার্ড করা হয় নেত্রকোনা অথবা ময়মনসিংহে।
রেফার্ড করা রোগীদের নিয়ে আবার প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা বাণিজ্যসহ নানা অভিযোহ রয়েছে এই হাসাপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে।