নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মুখে কাপড় বেধে বসত ঘর থেকে তুলে নিয়ে শ্যালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামী মুলহাস উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৪ কিশোরগঞ্জের একটি টিম।
নেত্রকোনার সীমান্ত দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফুলপুর নোয়াগাঁও গ্রাম থেকে শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব ১৪ কোম্পানি কমান্ডার এম এ শোভন খান জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মুলহাস উদ্দিনের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিনকিফান্দা গ্রামে। তিনি আব্দুল বারেকের ছেলে ও মামলার বাদীর খালাতো বোন জামাই।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ নুর এ আলম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মুলহাসকে আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা বাবার মৃত্যুর পর একমাত্র ভাই ওই কিশোরীর অভিভাবক। ভাই-বোন নিজ বাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছিলো। ভাই পেশায় অটোরিকশা চালক। রিক্সা চালিয়ে বোনকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পাড়ান তার ভাই। কিন্তু ভাই রিক্সা চালক হওয়ায় প্রায় সময় রাত হয় বাড়ি ফিরতে। যে জন্য বেশিরভাগ সময় বোন বাড়িতে একাই থাকে। এদিকে প্রায়ই কিশোরীদের বাড়িতে আসা যাওয়া করেতা খালাতো বোন জামাই মুলহাস উদ্দিন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দিবাগত রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের দরজায় কড়া নাড়লে কিশোরী তার ভাই ভেবে দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলতেই মুখে কাপড় বেঁধে কিছুটা দূরে পাহাডী ঝরনার পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই দুলাভাই। পরে ওই কিশোরীর চিৎকার শুনে কয়েক জন কৃষক ছুটে গেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক। এরপর কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান কৃষকরা। পরদিন ওই কিশোরী বাদী হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুলাভাইকে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করে।
স্থানীয়রা জানান, এতিম দুই ভাইবোন অনেক কষ্ট করে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে। ভাইটি পড়াশোনা করতে না পরায় বোনকে পড়াচ্ছে। এরপরেও স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সব সময় কুনজর পরিবারটির দিকে।