নেত্রকোনার পাহাড়ি সীমান্তের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমার ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দুর্গাপুর উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে প্রকিবাদ করেছে গারো ছাত্র সংগঠন বাগাছাস। শনিবার দুপুরে উপজেলার উৎরাইল বাজারে প্রায় দুইঘন্টা সড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচী পালন করে।
এসময় আন্দোলনকারী জানায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লগড়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা একজন আওয়ামীলীগ নেতা। তার ওপর বর্বরোচিত এই হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
তারা জানায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে পৌর শহরের শিবগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন সুব্রত সাংমাসহ ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক বাবুসহ মোট চারজন। রাতেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। কিন্তু গত তিন দিনেও একজনও গ্রেফতার হয়নি। এদিকে আহতদের মধ্যে সুব্রত সাংমা ও ওমর ফারুক বাবুর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে (৩০ সেপ্টেম্বর) শামীম মিয়া ওরফে শুটার শামীম, বদরুজ্জামান বদি, কুল্লগড়া বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শামীম ও বদির ভাই আব্দুল আউয়ালসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু। তবে এ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে আসামী ধরতে মাঠে আছে পুলিশ। এদিকে ওইদিন রাতেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলার বিচার দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল করে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও গারো ছাত্র নেতারা জানায় শুটার শামীম ও বদি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের আপন ভাই। শামীম বদির বিরুদ্ধে চোরকারবারী, মাদকের চিহ্নিত ব্যবসায়ীসহ পাহাড়ি সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে শুটার শামীম হিসেবে একজন পরিচিত। ভাড়ায় মানুষ হত্যার কাজে এরা জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে এরা অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।